প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, অতিমারীর সময়ে অনাহারে থাকতে হয়নি সাধন- প্রণতিদের

।। অশোক দেববর্মা ।। করোনা পরিস্থিতির সময়ে ও লকডাউনে সরকার থেকে অতিরিক্ত চাল পেয়েছি। এতে পরিবারের ভরণপোষণে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় খাদ্য পেয়ে এভাবেই নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মোহনপুর ব্লকের কালাছড়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সাধন দাশগুপ্ত। এর পাশাপাশি একই গ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্র মোহন শীল, প্রণতি শীল, মণিদীপা দাসরাও করোনাকালীন সময়ে অতিরিক্ত চাল পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তারা।প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা দেশের গরিব ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প এটি। ২০২০ সালে গোটা বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে সাধারণ ও গরিব মানুষের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত হয়। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে অন্ত্যোদয় ও অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবারগুলিকে গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা বা পৌঁছে দেওয়া। এর মাধ্যমে অন্ত্যোদয় এবং অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য বিনামূল্যে অতিরিক্ত ৫ কেজি চাল অথবা গম এবং প্রতিটি পরিবারে ১ কেজি করে ডাল বিতরণ করা হয়। যে কারণে এই প্রকল্পটি গোটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি বৃহত্তম খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। পশ্চিম জেলার মোহনপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় খাদ্য সামগ্রী পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। এই মহকুমার বামুটিয়া, লেফুঙ্গা, মোহনপুর, হেজামারা ব্লক সহ মোহনপুর পুরপরিষদ এলাকার ৩১ হাজার ৮২৮টি পরিবার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় খাদ্য সামগ্রী পেয়েছেন। চলতি অর্থবছরের মে, জুন মাস পর্যন্ত অন্ত্যোদয় এবং অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবারগুলিকে বিনামূলো অতিরিক্ত ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। করোনা অতিমারীর সময়ে গত বছর দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো ত্রিপুরাতেও চালু হয় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা। এতে উপকৃত হয়েছেন শ্রমজীবী ও দরিদ্র অংশের আপামর জনসাধারণ। স্বাভাবিক কারণেই এই প্রকল্পের সুযোগ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি তারা। এই প্রকল্পে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক, প্রান্তিক কৃষক, পল্লী কারিগর / কারিগর যেমন কুমার, ট্যানার, তাঁতী, কামার, কাঠশিল্পী বস্তিবাসী এবং প্রতিদিনের জীবিকা নির্বাহকারী ব্যক্তি যেমন কুলি, রিক্সা চালক, ঠেলা চালক, গ্রামীণ এবং শহরে উভয় অঞ্চলে ফল এবং ফুল বিক্রেতা, বাড়ি বাড়ি কাজ করা পরিচারিকা সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। তাছাড়াও সমস্ত এইচআইভি পজিটিভ বিপিএল অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলিও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুফল পাচ্ছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সমাজের দরিদ্র অংশের মানুষের পাশে থাকায় অতিমারীর সময়েও অনাহারে থাকতে হয়নি তাদের।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?