স্টাফ রিপোর্টার, জিরানীয়া, ২৬ এপ্রিল।। আমাদের দেশে জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশই কৃষি ভারতবর্ষের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর অর্থনীতি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে কৃষকদেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কৃষি ও কৃষকদের কল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আজ চম্পকনগরে হারাধন সাহা কমিউনিটি হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক কৃষি মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে পশ্চিম জেলার ৯টি ব্লক থেকে ৯ জন কৃষককে উত্তরীয়, সংশাপত্র ও ব্যাটারিচালিত স্প্রে মেশিন দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
কৃষিমেলার উদ্বোধন করে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কৃষি ও কৃষকদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কৃষকদের আয় বাড়াতে বছরে দু’বার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে। তাতে কৃষকগণের কাছে সরাসরি ধান বিক্রির টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। কৃষকদের কল্যাণে বিভিন্ন জায়গায় কৃষকবন্ধু কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ফসল বীমা যোজনা, সয়েল হেলথ কার্ড প্রভৃতির সুযোগ রাজ্যের কৃষকগণ পাচ্ছেন। ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাদের বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতিও দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব বলেন, কৃষিকে ভিত্তি করে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের কৃষি স্থায়ী কমিটির সভাপতি সমরেশ বিশ্বাস, কৃষি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা আই সি এ আর’র ড. বিশ্বজিৎ দাস।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস। উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, বেলবাড়ি বিএসি’র চেয়ারম্যান রোকেন দেববর্মা, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস, টি-সামেটি’র অধিকর্তা বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক এবং অভিজিৎ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উপতাধিকর্তা সুকান্ত দাস।