স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ এপ্রিল।। সহজলভা সম্পদের উপর ভিত্তি করে রাজ্যে উদ্যোগ স্থাপনে উৎসাহ দিতে গতকাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমএন্ট প্রোমোশন ইনসেনটিভ স্কিম ২০২২’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প আগামী ৫ বছর অর্থাৎ ১ এপ্রিল, ২০২২ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২৭ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্যোগ স্থাপনে বিভিন্ন আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করবে। ১ এপ্রিল, ২০২২ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২৭-এর মধ্যে বেসরকারি সমবায় ক্ষেত্র, স্বসহায়ক দল, যৌথ ক্ষেত্র এবং রাজ্য সরকারের অধীন স্থাপিত কোম্পানী এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা দেওয়ার জন্য যেসব অগ্রাধিকার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রাবার, বাঁশ, কৃষি ও উদ্যান ফসল, গ্যাস, চা, আগর, তৈল, রাবার প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি এবং পর্যটন, স্বাস্থ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত পরিষেবা ক্ষেত্র।
‘ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন ইনসেনটিভ স্কিম- ২০২২’ প্রকল্পে যেসব সুবিধা দেওয়া হবে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে মূলধনী বিনিয়োগের উপর ৪০ শতাংশ এবং অগ্রাধিকার বহির্ভূত ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ভর্তুকী দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে এমএসএমই’ গুলির জন্য ভর্তুকীর পরিমাণ সর্বোচ্চ ১২৫ লক্ষ টাকা এবং বাকি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভর্তুকীর পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা। বড় উদ্যোগের ক্ষেত্রে জমি ও বিল্ডিং নির্মাণ বাবাদ মূলধনী বিনিয়োগের উপর সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা ভর্তুর্কী দেওয়া হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩০ একর জমির উপর গড়ে উঠা শিল্প উদ্যান/নগরী/লজিস্টিক হাব-এর মত পরিকাঠামো উন্নয়নে জমির মূল্য বাবদ দিয়ে মূলধনী বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকী দেওয়া হবে।
তাছাড়া, এস পি এস টি বাবদ ১০০ শতাংশ ভর্তুকী দেওয়া হবে যদি তা অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ১২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় এবং বাকি ক্ষেত্রে ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। আগে এই ভর্তুকীর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০০ লক্ষ এবং ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তেমনি সমস্ত যোগ্য শিল্প উদ্যোগগুলিকে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং বাকি ক্ষেত্রে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের উপর ভর্তুকী দেওয়া হবে। আগে এই ভর্তুকীর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২০ লক্ষ টাকা ও ১২ লক্ষ টাকা। তেমনি গৃহীত ঋণের সুদের উপরেও অগ্রাধিকার ক্ষেত্র ও অন্যান্য ক্ষেত্রের জন্য ৫ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ হারে ভর্তুকী দেওয়া হবে। তবে তার সর্বোচ্চ সীমা হবে যথাক্রমে ১২ লক্ষ টাকা ও ৫ লক্ষ টাকা। এই ভর্তুকীর পরিমাণ আগে ছিল যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ৩ লক্ষ টাকা৷ রাজ্যের বাইরে থেকে আনুসাঙ্গিক কাঁচামাল পরিবহণে খরচের উপরও ৫০ শতাংশ ভর্তুকী দেওয়া হবে।
তাছাড়া, স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন ফি, প্রযুক্তি হস্তান্তর বাবদ ফি, কর্মসংস্থান খরচের ভর্তুকী ইত্যাদিতে এককালীন ১০০ শতাংশ ভর্তুকী, এমএসএমই’ গুলির জন্য এককালীন ভর্তুকী, বিভিন্ন দরপত্রে বিশেষ ছাড়, মেলাও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণে ভর্তুকী ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে।