অনলাইন ডেস্ক,২১ এপ্রিল।। ভ্যাকসিন জটিলতার কারণে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লড়াই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারেননি নোভাক জকোভিচ। মেলবোর্নে আটকের পর অনেক নাটকীয়তা শেষে শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরত পাঠানো হয় সার্বিয়ান তারকাকে।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলে রজার ফেদেরার-রাফায়েল নাদালকে পেছনে ফেলে রেকর্ড ২১ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হতেন তিনি। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হয়নি তার। ফেদেরার-জকোভিচহীন মেলবোর্নের কোর্টে ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নেন নাদাল।
প্রধান ইভেন্টে খেলতে না পারার কষ্টটা জকোভিচের চেয়ে আর কে বেশি উপলব্ধি করবে! এবার যখন উইম্বলডনে রাশিয়া ও বেলারুশের টেনিস তারকাদের নিষিদ্ধ করা হলো, তখন জমে থাকা সেই ক্ষোভই উগরে দিলেন ‘জোকার’।
পুরুষ এককের শীর্ষ বাছাই উইম্বলডন আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করেন। জকোভিচ জানান, তিনি অল ইংল্যান্ড ক্লাবের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে পারছেন না। উইম্বলডনের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মনে করেন, খেলাধুলায় রাজনীতির হস্তক্ষেপ ভালো নয়।
ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে গত বুধবার অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) জানায়, রাশিয়া ও বেলারুশের টেনিস তারকারা অংশ নিতে পারবে না।
এর ফলে পুরুষ এককের দুই নম্বর বাছাই রাশিয়ার ডেনিল মেদভেদেভ এবং নারী এককের চার নম্বর বাছাই বেলারুশের আরিয়ানা সাবালেঙ্কাকে দেখা যাবে না লন্ডনে। এছাড়া দুই দেশের আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ বাছাই টেনিস তারকা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তবে উইম্বলডনে খেলার সুযোগ যে একেবারেই নেই তাদের, তা নয়। সেক্ষেত্রে দুই দেশের খেলোয়াড়রা এই টেনিস সফরে যেতে পারবেন এক শর্তে। নিজ দেশের পতাকাতলে খেলতে পারবেন না তারা।
গত বছরের উইম্বলডনে সাবালেঙ্কা সেমিফাইনাল খেলেছিল। অন্যদিকে মেদভেদেভ পৌঁছেছিল চতুর্থ রাউন্ডে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুদ্ধবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও নারী এককের ১৫ নম্বর বাছাই রাশিয়ার আতাসতাসিয়া পাভলিউচুয়েকোভা এবং ১৮তম বাছাই বেলারুশের ভিক্তোরিয়া আজারেঙ্কাকেও থাকতে হবে দর্শক হয়ে।
একই ভাগ্য বরণ করতে হবে পুরুষ এককের অষ্টম বাছাই রাশিয়ার আন্দ্রেই রুবলেভ এবং তার স্বদেশি ২৬তম বাছাই কারেন কাছানভকেও। তবে মে থেকে শুরু হওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলতে পারবেন দুই দেশের টেনিস তারকারা।
উইম্বলডন শুরু হবে ২৭ জুন এবং চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।