বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে সমাজবাদী পার্টি

অনলাইন ডেস্ক, ১১ এপ্রিল।।উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। কারণ, দলের প্রবীণ নেতা আজম খান অখিলেশের সঙ্গত্যাগ করে নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করতে চলেছেন৷ আজম খানের মিডিয়া ইনচার্জ ফাসাহাত খান সানু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঠিকই বলেছেন যে, অখিলেশ যাদব চান না আজম খান জেল থেকে বেরিয়ে আসুক।

উল্লেখ্য, রবিবার গভীর রাতে রামপুরে দলীয় কার্যালয়ে আজম খানের সমর্থকদের এক সভায় ফাসাহাত খান সানু এই মন্তব্য করেন। ফাসাহাত বলেছেন, আমরা অখিলেশ এবং মুলায়ম সিং যাদবকে ইউপির মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলাম৷ কিন্তু তারা আজম খানকে বিরোধী দলের নেতা করেনি। জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মাত্র একবার। সূত্রের মতে, এই কারণে আজম খান বিরক্ত৷ একবার ছাড়া অখিলেশ যাদব তাঁকে সীতাপুর জেলে দেখতে যাননি৷ যেখানে তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দি রয়েছেন। আজম খান ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং সীতাপুর জেলে কারাগারের আড়ালে থেকে৷ টানা ১০ বারের জন্য রামপুর আসন জিতেছিলেন। ফাসাহাত বলেন, আজম খানের নির্দেশে শুধু রামপুর নয়, বহু জেলার মুসলমানরা এসপিকে ভোট দিয়েছে৷ কিন্তু এসপির জাতীয় সভাপতি মুসলমানদের পক্ষপাতিত্ব করেননি।

আজম খান দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকলেও জেলে তার সঙ্গে একবারই দেখা করতে গিয়েছিলেন এসপি সভাপতি। শুধু তাই নয়, দলে মুসলমানদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ৷ ফাসাহাত আরও বলেন, এখন মনে হচ্ছে অখিলেশ যাদব আমাদের পোশাকে গন্ধ পাচ্ছেন। মজার ব্যাপার হল, একদিন আগে এসপি সাংসদ শফিকুর রহমান বার্কও অভিযোগ করেছিলেন, এসপি মুসলমানদের জন্য কাজ করছে না।

সমাজবাদী পার্টির রাজ্য মুখপাত্র এবং জাতীয় সম্পাদক রাজেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, আমি এমন কোনও বৈঠক বা মন্তব্য সম্পর্কে অবগত নই। আজম খান এসপির সঙ্গে এবং এসপি তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। আজম খানের স্ত্রী তানজিন ফাতিমা একজন প্রাক্তন বিধায়ক এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্য৷ তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ আজম খান রামপুরের সোয়ার বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছেন।

২২ মার্চ আজম খান তার বিধানসভা আসন ধরে রাখতে রামপুর লোকসভার সদস্য হিসাবে পদত্যাগ করেন। এটি করা হয়েছিল একই দিনে অখিলেশ তার করহাল বিধানসভা আসনটি ধরে রাখতে এসপির আজমগড় লোকসভা সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

এর আগে আজম খান ২০০৯ সালের মে মাসে যখন দল তাকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল, তখন এসপির বাইরে ছিলেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং তিনি আবার দলে যোগ দেন। বহিষ্কারের সময় তিনি অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট বাঁধেননি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?