গ্রীষ্ম ঋতু উপভোগ করার জন্য সেরা ৮টি খাবার জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক, ১১ এপ্রিল।। গ্রীষ্মে আমাদের শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। গ্রীষ্মেকালে প্রায় অনেকেই জলশূন্যতা অনুভব করে৷ এরফলে শক্তির অভাবে শরীর দূর্বল লাগে৷ গ্রীষ্মের সময় শরীরের অস্বস্তিকর অবস্থা নির্দেশ করে এমন উপসর্গগুলি বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তার মধ্যে রয়েছে চোখজ্বালা, আলসার, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিদ্রা, অম্লতা৷

আবার কারও কারও হার্টবিট বেড়ে যায়৷ সঠিক খাওয়া দাওয়া করে আমাদের জীবনধারা পরিবর্তন করে গ্রীষ্মের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেদের কাটিয়ে উঠতে এবং রক্ষা করতে পারা যায়৷ শরীরের গরম কমাতে এবং গ্রীষ্ম ঋতু উপভোগ করতে সাহায্য করার জন্য সেরা ৮টি খাবার জেনে নিন৷

১। নারকেল জল: এটি গ্রীষ্মকালে সেরা পানীয়। নারকেল জলের স্বাভাবিকভাবেই শীতল বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ যা আপনাকে বছরের প্রচণ্ড গ্রীষ্মের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেট করতে পারে৷ এইভাবে প্রাকৃতিকভাবে তাপমাত্রা সৃষ্টিকারী ইলেক্ট্রোলাইটসকে ভারসাম্য বজায় রাখে।

২। বাটার মিল্ক: এই স্বাস্থ্যকর পানীয় অপরিহার্য প্রো-বায়োটিক, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে৷ এই খাবারটি আমাদের শরীরকে প্রচণ্ড গরমেও ঠান্ডা রাখে। প্রতিদিন বা দিনে দু’বার বাটার মিল্ক পান করলে শরীর ঠান্ডা হতে পারে। আপনার শক্তি পুনরুদ্ধার করতে এটি সাহায্য করে।

৩। অ্যালোভেরা: এটি প্রাকৃতিক কুলিং এজেন্ট। অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে শরীরের তাপ কমানোর ক্ষেত্রে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। জেলটি ত্বকেও প্রয়োগ করা যেতে পারে৷ আপনি শসা বা পুদিনার সঙ্গে মিশ্রণ তৈরি করে পান করতে পারেন।

৪। পুদিনা: ভারতে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় এমন একটি ভেষজ। শরীর থেকে তাপের প্রভাবকে সামঞ্জস্য রাখতে এটি সাধারণত খাদ্য বা পানীয়তে যুক্ত করা হয়। এটি শুধুমাত্র আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং একটি চমৎকার কুলিং এফেক্ট প্রদান করে।

৫। তরমুজ: আম ছাড়াও তরমুজ আরেকটি ফল, যা প্রায়ই ভারতে গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়৷ সাধারণত, তরমুজের মধ্যে থাকা জল ৯২ শতাংশের বেশি৷ যা জলশূন্যতা রোধ করতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।

৬। শসা: তরমুজের মতো শসাতেও জলের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলিতে ফাইবারও থাকে৷ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে৷ গ্রীষ্মকালে আপনার শরীরের তাপ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে শসা৷

৭। লেবুর জল : ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ লেবু শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে ময়শ্চারাইজ এবং অক্সিজেন বাড়াতে পারে৷ শক্তি উন্নত করতে এবং গ্রীষ্মকালে তরতাজা অনুভব করতে সহায়তা করে।

৮। পেঁয়াজ: এটি কোয়ারসেটিন সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়৷ যা অ্যান্টি-অ্যালার্জেন হিসাবে কাজ করে। এটি আপনাকে সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করতেও পারে৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?