পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

অনলাইন ডেস্ক,৯ এপ্রিল।। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তসোভা (৩৬) এবং কাতেরিনা তিখোনোভার (৩৫) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সর্বশেষ ধাপের এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন আরও দুই শতাধিক ব্যক্তি।

এর আগে তাদের দুজনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ নিয়ে রাশিয়ার এক হাজার ৯১ জনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হলো।

গতকাল শুক্রবার দিনের শেষ দিকে প্রকাশিত দাপ্তরিক তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর এএফপির।

ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের মিত্ররা। ইইউর সর্বশেষ ধাপের এই নিষেধাজ্ঞায় আরও ১৮ কোম্পানির সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।

এর আগে পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দেশ দুটির নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মেয়ে সের্গেইভনা ভিনোকুরোভার নামও রয়েছে।

ইউক্রেনের বুচা শহরে রুশ বাহিনীর ‘নৃশংসতার’ চিত্র সামনে আসার প্রেক্ষাপটে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আলোচনায় গত বুধবার ঘুরেফিরে মারিয়া ও কাতেরিনার নাম আসে।

দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় আছেন পুতিন। কিন্তু এই সময়ে তার সঙ্গে প্রকাশ্যে পরিবারের সদস্যদের খুব কমই দেখা গেছে।

তার পরিবারের সদস্যদের ছবিও তেমন একটা পাওয়া যায় না। পুতিনের দুই মেয়ের মা লিয়ুদমিলা। ২০১৩ সালে পুতিনের সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি (ডিভোর্স) হয়।
২০১৫ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের কাছে তার মেয়েদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তার দুই মেয়ে রাশিয়ায় বসবাস করেন। তাদের পড়াশোনাও রাশিয়ায়। তারা তিনটি বিদেশি ভাষায় কথা বলতে পারেন।

এই সপ্তাহের শুরু দিকেই পুতিনের দুই মেয়ের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করার ব্যাপারে একমত হয়েছিল ইইউর সদস্যদেশগুলো। তবে এটি কার্যকর হয়েছে শুক্রবার দিনের শেষ দিকে। পুতিনের দুই মেয়েসহ এ তালিকায় মোট ২১৭ জনের নাম আছে। এ নিয়ে রাশিয়ার এক হাজার ৯১ জনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হলো।

ইউক্রেনের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের পদক্ষেপকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো ও ইউরোপের দেশগুলো। পাশাপাশি রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে তারা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?