অনলাইন ডেস্ক,৭ এপ্রিল।। সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় সরব প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া (পিসিআই)। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলল পিসিআই।
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার ৩ এপ্রিল দিল্লির বুরারিতে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই হিন্দু মহাপঞ্চায়েতের মিটিং চলার সময়ে পাঁচজন সাংবাদিক আক্রান্ত হন। এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার শাস্তির দাবি তুলেছে পিসিআই।
সাংবাদিক নিগ্রহকে নিন্দনীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে পিসিআই-এর বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনাগুলি পূর্ব পরিকল্পিত অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সাম্প্রতিক অতীতে সাংবাদিক হেনস্থা করার ঘটনাগুলি দেখে সহজেই অনুমান করা যায়, একশ্রেণির মানুষ সংবাদ মাধ্যমকে আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে সাংবাদিক হেনস্থা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় দাঁড়িয়েছে। আর দিল্লি পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। এখনও পর্যন্ত বুরারি হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া (পিসিআই) বালিয়ার ঘটনা নিয়েও সরব হয়ে অবিলম্বে গ্রফতার হওয়ার সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি তুলে কড়া নোটিশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে বিতর্কের মুখে যোগীরাজ্যে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষার আগে ৫০০ টাকায় পাওয়া ইংরেজি প্রশ্নপত্রের উত্তর নিয়েও।
বিষয়টি জানাজানি হতে হইচই পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে ২৪টি জেলার পরীক্ষা বাতিল করে উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ। বালিয়া থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে জানা যায়। তবে সামগ্রিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয় যোগী প্রশাসন।
এই ঘটনায় তিন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পুলিশ যে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে তাদের মধ্যে তিনজন হলেন সাংবাদিক অজিত কুমার ওঝা, দিগ্বিজয় সিং এবং মনোজ গুপ্ত। পেপার ফাঁস মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক দিগ্বিজয় সিংয়ের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ যখন সাংবাদিককে আটক করে সংশ্লিষ্ট আদালতে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। ভিডিওতে সাংবাদিক দিগ্বিজয় সিং বলছেন, বালিয়া প্রশাসনের আসল চেহারা সামনে এসেছে। তিনি বলেছিলেন যে, সূত্রের মাধ্যমে তিনি ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের অনুলিপি পেয়েছেন। যা তিনি বারাণসী থেকে প্রকাশিত একটি হিন্দি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন। সাংবাদিক দ্বিগিজয় সিং বলেছিলেন যে, প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করেছে। এটি পুলিশের অপরাধমূলক কাজ।