স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৫ এপ্রিল।। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল সোপান হলো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। সরকার চায় রাজ্যের ভিতর, বহির্রাজ্য ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত এবং আধুনিক করতে। সে লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় আজ স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে মিটার অটোরিক্সা, ই-চালান এবং ইন্টিগ্রেটেড রোড অ্যাক্সিডেন্ট ডাটাবেস প্রকল্পের উদ্বোধন করে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় প্রদীপ জ্বেলে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি পতাকা নেড়ে মিটার অটোরিক্সা, বৈদ্যুতিন বোতাম টিপে ই-চালান এবং ইন্টিগ্রেটেড রোড অ্যাক্সিডেন্ট ডাটাবেস’র আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। উদ্বোধকের ভাষণে পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, আগামীকাল থেকে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় মিটার অটোরিক্সা চালু হচ্ছে। এতে জনজট কমবে। যাত্রী, ড্রাইভার ও মালিক উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় মোট ৬,৫৪৫টি রেজিস্ট্রিকৃত অটো রয়েছে। এর মধ্যে মিটার অটো রয়েছে ১,৫৭১টি। যারা মিটার অটো করাননি অবশিষ্টদের আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে করিয়ে নিতে তিনি পরিবহণ দপ্তরকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন আগের মত নেই। রাজ্যের তিনদিক যেখানে বাংলাদেশ পরিবেষ্টিত তারপরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উদ্যোগে রাজ্যের সঙ্গে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের সংযোগ ক্রমান্বয়ে রেলের সাথে যুক্ত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাথেও রেল সংযোগ সম্প্রসারিত হবে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে এ রাজ্য আজ বহির্রাজ্যের সাথে যুক্ত হয়েছে। মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটাকে লক্ষ্যরেখে ২০১৯ সালে পরিবহণ দপ্তর মিটার অটো চালু করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কোভিড-১৯ এর জন্য আগে তা করা সম্ভব হয়নি। পর্যটনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগের তুলনায় রাজ্যে তিনগুণ পর্যটক আগমণ বেড়েছে। পর্যটন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, আগরতলা পুর নিগম আগরতলা শহরকে জনযাট মুক্ত ও স্বচ্ছ ও সুন্দর করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক পুনীত রাভোগী। স্বাগত ভাষণ দেন পরিবহণ দপ্তরের প্রধান সচিব এল এইচ ডার্লং। উল্লেখ্য, মিটার অটোতে ভাড়া প্রতি যাত্রী পিছু ২ কিলোমিটার পর্যন্ত ২০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ২ কিলোমিটার পর প্রতি ১০০ মিটারে ১ টাকা বাড়বে। ৫ মিনিট অপেক্ষার জন্য ৫ টাকা দিতে হবে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মিটার রিডিং-এর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ হারে টাকা দিতে হবে।