অনলাইন ডেস্ক, ৫ এপ্রিল।। অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বগ্রহণের আগ পর্যন্ত সাংবিধানিকভাবে ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি রবিবার এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে দেওয়া সেই টুইটবার্তায় আরিফ আলভি বলেন, ‘সংবিধানের ২২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘এ’ ধারার ৪ নম্বর উপধারা অনুযায়ী, অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত ইমরান আহমাদ খানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন’।
রবিবারই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতাদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসেম খান সুরি। কিন্তু বিরোধীরা ডেপুটি স্পিকারের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পাশাপাশি, পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফকে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা করেন তারা।
নতুন প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পিএমএল-এনের অপর নেতা আয়াজ সাদিককে নতুন স্পিকার হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে বলে রবিবার এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দল পিপিপির (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) আইনপ্রণেতা শেরি রেহমান।
এমনকি, রবিবার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার কাসেম খান সুরির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে জানান, ডেপুটি স্পিকারের ‘অসাংবিধানিক পদক্ষেপের’ জবাবে শিগগিরই ‘আইনী লড়াই’ শুরু করবে পিপিপি ও অন্যান্য বিরোধীদল।
বিরোধীদের এসব উদ্যোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই টুইটবার্তা দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
অনাস্থা ভোট বাতিল এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগাম নির্বাচনের যে ডাক দিয়েছেন তার বৈধতা নিয়ে সোমবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। তবে আদালত আজই চূড়ান্ত কোনো রায় না দিয়ে শুনানি আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত মূলতবি করেছে।