অনলাইন ডেস্ক, ৫ এপ্রিল।। রাশিয়া দখলকৃত এলাকায় তাদের সেনাদের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর বিবিস।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে জেলেনস্কির। তার আগেই ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে এমন প্রতিবেদনের ওপর সন্দেহ জাগানোর জন্য একটি ‘প্রচার’ অভিযান চালানোর জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীকে অভিযুক্ত করলেন।
সোমবার জেলেনস্কি বলেন, আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে কিয়েভ অঞ্চলে বেসামরিকদের গণহত্যার প্রকাশের পর, দখলদাররা আমাদের দেশের অন্য অংশে তাদের অপরাধের প্রতি ভিন্ন মনোভাব পোষণ করতে পারে।
‘তারা ইতিমধ্যেই মারিউপোলে বেসামরিকদের গণহত্যায় তাদের অপরাধ গোপন করার জন্য একটি মিথ্যা প্রচারণা শুরু করছে। তারা কয়েক ডজন সাজানো সাক্ষাৎকার তৈরি করবে, রেকর্ডিং পুনরায় সম্পাদনা করবে এবং বিশেষভাবে লোকেদের হত্যা করবে যাতে মনে হয় যে তারা অন্য কেউ হত্যা করেছে।’
“একই কৌশল ব্যবহার করেছিল যখন ডনবাসে মালয়েশিয়ার একটি বোয়িংকে গুলি করে। তারা ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছিল। এমনকি তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও নিয়ে এসেছিল। এও দাবি করেছিল, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে মৃতদেহ ‘নিক্ষেপ’ করা হয়েছিল।”
ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনামলে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপে পশ্চিমা নেতাদের আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, শাস্তি অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বোরোদিয়াঙ্কা ও বুচা ছাড়া ইউক্রেনের অন্যান্য শহরগুলোকে মুক্ত করা হয়েছে। বুচায় তিন শতাধিক নিহত হয়েছে বলা হলেও পুরো শহরটি পরীক্ষা করা হলে মোট হতাহতের সংখ্যা বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বলেছিল, নিজেদের জনগোষ্ঠীর একটি অংশের ওপর ইউক্রেন হামলা করেছে এমন সাজানো ভিডিও অজুহাত হিসেবে প্রচার করবে রাশিয়া।