অনলাইন ডেস্ক, ৪ এপ্রিল।। তীব্র গরমে শিশু নানারকম স্বাস্থ্য জটিলতার মুখোমুখি হয়। এ সময়ে শিশুদের নানাবিধ অসুখ হতে পারে। এ সময় বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
জলবসন্ত বা চিকেন পক্স
সাধারণত ১-৫ বছরের শিশুদের গরমে জলবসন্ত বেশি হয়। তবে টিকা নেওয়া থাকলে এ রোগটি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। এ সময় শিশুকে নরম সুতি কাপড় পরাতে হবে। তরল বা নরম জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে।
চামড়ার র্যাশ বা ফুসকুড়ি
এটা সাধারণত ঘামাচি বা চামড়ার ওপরে লাল দানার মতো ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। এ র্যাশ বা ফুসকুড়ি চুলকায় যার কারণে শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত গোসল করিয়ে পরিষ্কার জামা পরাতে হবে। ফুসকুড়ির জায়গাগুলোয় বেবি পাউডার লাগাতে হবে। অনেক সময় ডায়াপার থেকেও র্যাশ হয়। তবে গরমের সময় ডায়াপার না পরিয়ে রাখাই ভালো।
পেট খারাপ
গরমের সময় সাধারণত বেশি হয়ে থাকে যা তা হচ্ছে পেট খারাপ। এ সময় তাকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে পানি, ডাবের পানি, তরল খাবারও দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিশুর পায়খানা স্বাভাবিক না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এ নিয়ম মেনে চলতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে যেন শিশুর পানিশূন্যতা না হয় এবং তার প্রস্রাবের পরিমাণ যেন স্বাভাবিক থাকে।
ঠান্ডার সমস্যা
গরমে শিশুদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডার সমস্যাটাও বেশি হতে দেখা যায়। গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশু ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর মুছে দিয়ে কাপড় বদলে দিতে হবে। গরমে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে এবং তাকে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া গরমে ছোট্টমণির চুলের দিকেও নজর দিতে হবে। গরমে চুলের গোড়া ঘেমে যায়। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে চুলের ত্বকে খুশকি বা ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই শিশুর চুল ছেঁটে ছোট করে দিতে হবে। এতে চুলের গোড়া ঘেমে গেলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
পরামর্শ
গরমে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে এবং ধুলাবালি থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।
বাইরে বের হলে শিশুর জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে।
শিশু ঘেমে গেলে ঘাম মুছে দিতে হবে।
গরমে যতটা সম্ভব শিশুকে নরম খাবার খাওয়ানো ভালো।
শিশুর ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে।
সদ্যোজাত শিশুদের সবসময় ঢেকে রাখতে হবে, যেন তাদের শরীর উষ্ণ থাকে।
গরমের সময়টাতে মশা, মাছি, পিঁপড়া ইত্যাদি পোকামাকড়ের প্রকোপ দেখা যায়। এগুলো আপনার শিশুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করুন শিশুকে। বিদেশি ফলের থেকে মৌসুমি ফল স্বাস্থ্যকর।