অনলাইন ডেস্ক,১এপ্রিল।। পার্বত্য এলাকার নদী খরস্রোতা হয়ে থাকে। নাব্যতাও কম। নিয়মিত বালি কেটে দিতে হয় নদীর গতিপথ বজায় রাখার জন্য। আর সেই কাজ করতে গিয়েই দেখা মিলল প্রাচীন ইতিহাসের। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য বালি কাটতেই উদ্ধার হল সুপ্রাচীন দেবীর মূর্তি। মূর্তিতে আবার রয়েছেদেবীর তিনটি মাথা।
বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। কাশ্মীরের প্রধান নদী ঝিলম। এই নদীতেই বালি কাটার কাজ করছিলেন কিছু শ্রমিক। তাঁদের হাতেই উদ্ধার হয়েছে ওই সুপ্রাচীন দেবীর মূর্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পোঁছায় পুলিশ। পুলওয়ামা পুলিশ ওই ভাস্কর্য উদ্ধার করে পূরাতত্ত্ব বিভাগের হাতে তুলে দেয়। জম্মু-কাশ্মীর মিউজিয়ামে তা সজ্জিত হয়েছে।
সপ্তাহ দেড়েক আগে এমনই প্রচুর ভারতীয় চাস্কর্য ফিরিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারত থেকে পাচার হয়ে যাওয়া ২৯টি ভাস্কর্য ফিরিয়ে দিয়েছে ওই দেশের সরকার। ওই সকল ভাস্কর্য অত্যন্ত বিরল প্রকৃতির। সরকার পুরাকীর্তিগুলিকে ইতিমধ্যেই থিম অনুসারে ছয়টি বিভাগে ভাগ করেছে। শিব এবং তাঁর শিষ্যরা, শক্তির উপাসনা, ভগবান বিষ্ণু এবং তাঁর রূপ, জৈন ঐতিহ্য, প্রতিকৃতি এবং আলংকারিক বস্তু সমূহকেই বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে রাখা রয়েছে। এই পুরাকীর্তিগুলি বিভিন্ন সময়কালে সৃষ্টি হয়েছে। নয় থেকে দশ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে এগুলি প্রাথমিকভাবে ভাস্কর্য এবং পেইন্টিং যা বিভিন্ন উপাদানে সঞ্চালিত হয়, বেলেপাথর, মার্বেল, ব্রোঞ্জ, পিতল, কাগজ এর সাহায্যে বানানো হয় এই ভাস্কর্য।