অনলাইন ডেস্ক, ৩১ মার্চ।। হলিউডে বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ার গড়েছেন ব্রুস উইলিস। উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। ৬৭ বছর বয়সেও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। এর মাঝেই অ্যাফাসিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে অভিনয়কে বিদায় জানতে হলো তাকে।
অনলাইনে বিবৃতি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে অভিনেতার পরিবার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ব্রুস সম্প্রতি অ্যাফাসিয়া রোগের শিকার হয়েছেন। শরীরে নান রকম জটিলতা দেখা যাওয়ায় সঙ্গে কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। তার ফলে তিনি অভিনয় পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। আমাদের পরিবারের জন্য এই সময়টি অত্যন্ত কঠিন। আপনাদের সবার ভালোবাসা প্রয়োজন। আমরা জানি, ব্রুসের জন্য তার অনুরাগীরা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্রুস আপনাদের কতটা প্রিয়। তাই, সবাইকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো।’
অ্যাফাসিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শব্দ উচ্চারণে ও কথা বলতে অসুবিধা হয়। অক্ষমতা তৈরি হয় লেখার ক্ষেত্রেও। কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে শিল্পীরা কথা বলেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। সম্প্রতি অভিনয় করতে গিয়ে ব্রুসও এই সমস্যার সম্মুখীন হন। এর পরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন অভিনেতা।
জার্মান বংশোদ্ভূত ব্রুস উইলিস প্রযোজক ও সংগীতশিল্পী হিসেবেও পরিচিত। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় মুনলাইটিং (১৯৮৫-১৯৮৯) টেলিভিশন সিরিজে ডেভিড এডিসন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তখন থেকেই টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে একইসঙ্গে কাজ শুরু করেন তিনি।
‘ডাই হার্ড’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে জন ম্যাকক্লেন চরিত্রে অভিনয় করে প্রচুর জনপ্রিয়তা পান ব্রুস। যা তার চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যবসাসফল ও সমালোচক প্রশংসিত। এ ছাড়া পাল্প ফিকশন (১৯৯৪), টুয়েলভ মাংকিস (১৯৯৫), দ্য ফিফ্থ এলিমেন্ট (১৯৯৭), আর্মাগেডন (১৯৯৮), দ্য সিক্সথ সেন্স (১৯৯৯), আনব্রেকেবল (২০০০), সিন সিটি (২০০৫), লোপার (২০১২), মুনরাইজ কিংডম (২০১২) এবং জি আই জো.: রিটেলিয়েশন (২০১৩) ছবিতে দেখা যায় তাকে। এক সময় হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের অন্যতম তারকা ছিলেন ব্রুস উইলিস।