ইউরোপের বর্তমান সীমানা নিয়ে প্রশ্ন তুললে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী

অনলাইন ডেস্ক, ৩১ মার্চ।। ইউরোপের বর্তমান সীমানা নিয়ে প্রশ্ন তুললে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী মন্তব্য করে রাশিয়ার প্রসিডেন্ট পুতিনের ‘সাম্রাজ্যবাদী’ স্বপ্নের কড়া সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্য সংসদে এক ভাষণে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই সমালোচনা করেন।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলাকে বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলছেন, এর পেছনে মস্কোর এক ‘সাম্রাজ্যবাদী স্বপ্ন’ কাজ করছে। যুদ্ধের মাধ্যমে জমি দখলের এমন প্রচেষ্টা অত্যন্ত স্পষ্ট।

শলৎস বলেন, কোনোমতেই এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না এবং সেটা করাও হবে না। জার্মানি তথা ন্যাটোকে প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সবকিছু করতে হবে। তাই জার্মান সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে, বলেও জানান জার্মান চ্যান্সেলর।

উল্লেখ্য, জার্মান সংসদের প্রতিরক্ষা কমিটির সদস্যরা বর্তমানে ‘অ্যারো ৩’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা পেতে ইসরায়েল সফর করছেন। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে জার্মানি বর্তমান দুর্বলতা দূর করতে চাইছে।

নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্য সংসদে এক ভাষণে জার্মান চ্যান্সেলর চলমান সংকট সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর এবং বিশাল মাত্রার হুমকি বয়ে আনছে। মুক্ত বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে রাশিয়ার ওপর দ্রুত কার্যকর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে সঠিক কাজ করেছে। শলৎস এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন যে, এমনকি ইউক্রেনের রুশভাষী মানুষও রাশিয়ার আগ্রাসনের মোকাবিলা করছেন। তার মতে, ইউক্রেনের মানুষ যে নিজস্ব রাষ্ট্রে বাস করতে চান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেটা বুঝতে ভুল করেছেন। ফলে তার সেনাবাহিনী প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, গত কয়েক দশকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে সাফল্য অর্জন করা গেছে, তার মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোর বর্তমান সীমানা সম্পর্কে গ্যারেন্টি অন্যতম। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও সেই ঐক্য ও অখণ্ডতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক সীমানার দিকে হাত বাড়ালেই ইউরোপে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। পুতিনের এমন মনোভাবকে ভুল হিসেবে তুলে ধরেন শলৎস।

মঙ্গলবারই টেলিফোনে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শলৎস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল ম্যাখোঁ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার ওপর চাপ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তারা আবার পুতিনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন। আপাতত মারিওপোল শহর থেকে নিরীহ মানুষের উদ্ধারের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। সেইসঙ্গে ইউক্রেনের মানুষের জন্য ত্রাণসাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চান তারা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?