অনলাইন ডেস্ক, ২৪ মার্চ।। রাশিয়ার বড় একটি জাহাজ ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনের যোদ্ধারা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী বারদিয়ানস্কের কাছে জাহাজটিতে হামলা ও সেটি ধ্বংস করা হয় বলে জানিয়েছে তারা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের নৌবাহিনী জানিয়েছে, আজভ সাগরে নোঙর করা রাশিয়ার বড় আকারের জাহাজ ‘ওরস্ক’-এ বৃহস্পতিবার সকালে হামলা করা হয় এবং এতে জাহাজে আগুন ধরে যায়।
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কৃষ্ণসাগর ফ্লিটের ওরস্ক নামের বৃহৎ আকারের ওই জাহাজটি রুশ দখলকৃত বারদিয়ানস্ক বন্দরে ধ্বংস হয়ে গেছে’।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নৌবাহিনী এ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
সিএনএন ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি, যদিও সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওতে বন্দরে বিস্ফোরণের সঙ্গে বড় আগুনের কুণ্ডলী দেখা যায়।
টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের পোস্টে ইউক্রেনীয় নৌ বাহিনীর সিনিয়র উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো একটি ছবি আপলোড করে লিখেছেন, ‘রুশ-অধিকৃত বার্দিয়ানস্কে রকেট এবং কামানের গোলার আঘাতে অস্ত্রের গুদামে আগুন ধরে গেছে’।
গেরাশচেঙ্কোর আপলোড করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বার্দিয়ানস্ক বন্দর থেকে ধোঁয়া উড়ছে। বন্দরটি মারিওপোল থেকে ৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
বার্দিয়ানস্ক শহরটিতে প্রায় এক লাখ জনসংখ্যা রয়েছে। রুশ সামরিক বাহিনী ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম বার্দিয়ানস্কের সরকারি ভবন দখল করে।
ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়ার একটি জাহাজ ডুবে গেছে এবং অন্য দুটিতে আগুন ধরে গেছে। এছাড়া গোলাবারুদের একটি ডিপো এবং একটি জ্বালানি গুদামেও হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরটি রাশিয়ার দখলে রয়েছে এবং জাহাজে হামলা ও ধ্বংসের বিষয়ে রুশ সামরিক বাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়া কয়েক সপ্তাহ আগে বারদিয়ানস্ক শহরটি দখল করে এবং বর্তমানে সেখানকার বন্দরটি জ্বালানি সরবরাহের জন্য ব্যবহার করছে। এটি ক্রিমিয়া ও অবরুদ্ধ শহর মারিওপোলের মধ্যে অবস্থিত। বারদিয়ানস্ক শহরটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।