স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৩ মার্চ।। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মিশ্র মৎস্যচাষের জন্য রাজ্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭৮৭ জন মৎস্যচাষিকে বিনামূল্যে গুণগত সম্পন্ন পোনা, চুন, খৈল ইত্যাদি দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এতে ২১১৮৪ হেক্টর জলাশয়কে বিজ্ঞানভিত্তিক মৎস্যচাষের আওতায় আনা হয়েছে। আজ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক রঞ্জিত দাসের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মৎস্যমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রুই, কাতলা, মৃগেল, কমন কার্প (কার্পিও) প্রভৃতি প্রজাতির মাছের গুগমান সম্পন্ন পোনা উৎপাদনের জন্য ১০ ১৮ জন মৎস্যচায়িকে বিনামূল্যে মাছের রেনু, চুন, খৈল ইত্যাদি দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এতে ৮১৪৪ হেক্টর জলাশয়কে বিজ্ঞানভিত্তিক মৎস্যচাষের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি জানান, অধিক উৎপাদনের জন্য ৫ জন পোনা উৎপাদনকারী চাষিকে বিনামূল্যে জেনেটিকেলি উন্নতমানের রুই এবং কাতলা মাছের রেণু নিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এতে ০.৪ হেক্টর জলাশয়কে বিজ্ঞানভিত্তিক মৎস্যচায়ের আওতায় আনা হয়েছে।
বিধায়ক শঙ্কর রায়ের অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে মৎস্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে মৎস্যচাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের বিষয়ে দপ্তরের নানাবিধ কর্মসূচি রয়েছে। এতে উপরে উল্লেখিত সহায়তাগুলি ছাড়াও যে সমস্ত সহায়তা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সুসংহত পদ্ধতিতে শুকরের সাথে মাছের প্রতিপালন এবং ধানের সাথে মাছ চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়া মৎস্যচাষিদের জন্য নতুন জলাশয় খনন করা হয়েছে। নতুন হ্যাচারী নির্মাণ করা হয়েছে।
পুকুরে মাছের খাদ্য প্রয়োগে উৎসাহিত করতে খাদের উপর ভর্তুকী প্রদান করা হয়েছে। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্যচাষ করার জন্য বায়োফ্লক ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। চিহ্ন মিনিষ্টার স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় মৎসাচাষি পরিবার পিছু পাঁচশত মাছের পোনা ও একদিবসীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পৃথকভাবে বিজ্ঞানসম্মত মাছ চাষের এবং বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী জানান, উপরে উল্লেখিত কর্মসূচিতে স্বসহায়ক দল, মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এবং বনভূমিতে পাট্টাধারী মৎস্যচাষিরাও উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে মৎস্যচাষিদের ঋণ পাবার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়েছে।