আত্মনির্ভরতার জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান : উপমুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৩ মার্চ।। আত্মনির্ভরতার জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান। বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যের সকল অংশের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও আত্মসম্মান বাড়ানোর লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলছে। আজ বিধানসভা অধিবেশনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয়ার্ধে বিধানসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সদিচ্ছার অভাব ছিল। ফলে রাজ্যের সর্বত্র সমান উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। এই সরকার প্রথমদিক থেকেই এই দিকে লক্ষ্য রেখে জাতি, জনজাতি, সংখ্যালঘু সহ সকল সম্প্রদায়ের সম উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত রেগায় গড়ে ৬৯ শ্রমদিবসের কাজ হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটের উপর বিরোধীদের আনীত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেববর্মা বলেন, রাজ্যে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুস্পবন্ত প্রাসাদে মিউজিয়াম এন্ড কালচারেল সেন্টার গড়ে তোলা হবে। সামাজিক ভাতা বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরফলে রাজ্যের ৩ লক্ষ ৮১ হাজার পরিবার উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। জিএসটি কালেকশন বেড়েছে অনেকটাই। এই বাজেটের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের কল্যাণে সরকার ব্রতী হয়েছে।

এছাড়াও তিনি রাজ্যের রাস্তাঘাট, কৈলাসহর বিমানবন্দর পুনরায় চালু ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় আজ ১২ জন বিধায়কও আলোচনায় অংশ নেন। প্রস্তাবিত বাজেটের সমর্থন জানিয়ে বিধায়ক ডা. অতুল দেববর্মা বলেন, গত চার বছরে বিভিন্ন দপ্তরের অর্থ বরাদ্দ ক্রমশঃ বেড়েছে। বিধায়ক মিমি মজুমদার পেশ করা বাজেট সমর্থন জানিয়ে জনমুখী বাজেট পেশ করার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বিধায়ক বিপ্লব ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কৃষকদের স্বচ্ছলতা এসেছে। বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা বলেন, জনগণের উন্নয়নের জন্যই এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সবদিক বিবেচনা করেই এই বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে, বিধায়ক প্রেমকুমার রিয়াং বলেন, জনজাতি মানুষের কাছে আগের তুলনায় সহজতর উপায়ে সরকারি সুবিধাগুলি পৌঁছে যাচ্ছে।

বিধায়ক সুধাংশু দাস প্রস্তাবিত বাজেট সমর্থন জানিয়ে বলেন, বিরোধীরা হতাশ হয়ে এই বাজেটের বিরোধীতা করছেন। এই বাজেটের মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়ন দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যাবে। এছাড়াও আলোচনা করেন বিধায়ক সিন্ধু চন্দ্র জমাতিয়া। পেশ করা বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ের বিরোধীতা করে আলোচনা করেন বিধায়ক সুধন দাস, বিধায়ক মবম্বর আলি, বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস এবং বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?