স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ মার্চ।। রাজ্যে এমজিএন রেগায় কাজ পেতে ও মজুরির জন্য এখন কোন আন্দোলন করতে হয়না।যারা কাজ করছেন তাদের সবার অ্যাকাউন্টেই টাকা সময়মত ঢুকে যাচ্ছে। আজ রাজ্য বিধানসভায় ২০২১-২২ অর্থবছরের অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবীর সমর্থনে এবং বিরোধীদের আনীত ছাটাই প্রস্তাবগুলির বিরোধীতা করে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন।
তিনি বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যয় বরাদ্দের দাবীর সমর্থনে এবং বিরোধীদের আনা ছাটাই প্রস্তাবগুলির বিরোধীতা করে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, গত ৭০ বছরে রাজ্যে সমতল এবং পাহাড়ের মধ্যে বৈষম্যমূলক উন্নয়ন হয়েছে। এই সময়ে জনজাতিরা দারুনভাবে বঞ্চিত হয়েছেন।
জনজাতিদের উন্নয়নের উপর বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। রোজগার সৃষ্টি হয় এমন কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেকের বাড়িতে পানীয়জল পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে জলজীবন মিশনে কাজ হচ্ছে।
বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের গাইডলাইন ও যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। বিরোধীদের পক্ষে ছাটাই প্রস্তাবগুলি সমর্থন করে বক্তবা রাখেন বিধায়ক ভানুলাল সাহা। উভয় পক্ষের আলোচনা শেষে ছাটাই প্রস্তাবগুলি খুনি ভোটে বাতিল হয়ে যায় এবং ২০২১২২ অর্থ বছরের অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবী গৃহিত হয়।