অনলাইন ডেস্ক, ২৬ ফেব্রুয়ারী।। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ শনিবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, রাশিয়ার প্রায় ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার, ১০২টি ট্যাঙ্ক, ৫৩৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৩,৫০০ জনেরও বেশি রুশ সেনাকে হত্যা করেছে তারা।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ইউনিট মোতায়েন করতে শুরু করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রুশ সেনাদের আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে রয়েছে ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার, ১০২টি ট্যাঙ্ক, ৫৩৬টি সাঁজোয়া যান, ১৫টি আর্টিলারি এবং ‘বাক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা’।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক তার দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, রাজধানী কিয়েভসহ খেরসন, মাইকোলাইভ, ওডেসা এবং মারিউপোল শহরেও সংঘর্ষ চলছে।
ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ যুদ্ধের মধ্যেও সারা দেশে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে উল্লেখ করে পোডোলিয়াক জোর দিয়ে বলেন যে, ‘কিয়েভ এবং কিয়েভের আশে-পাশের অঞ্চলের পরিস্থিতিও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’।
পোডোলিয়াক বলেন, ‘শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫০০-রও বেশি রাশিয়ান সেনা নিহত হয়েছে এবং ২০০ জনকে বন্দী করা হয়েছে’।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ শনিবার তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে। তৃতীয় দিনে রাশিয়ান সৈন্যরা রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করেন।
তিনি দাবি করেন যে, প্রতিবেশী দেশ দখল করার কোন পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। কিন্তু ইউক্রেনকে ‘নিরস্ত্র’ এবং ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে চান তিনি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া তার দেশে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন এবং বলেছেন যে ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের দেশকে রক্ষা করবে।জেলেনস্কি নিজেও আমেরিকার পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সেনা পোশাকে যুদ্ধের ময়দানে নেমে গেছেন।