অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারী।। হিজাব বিতর্কে উত্তাল দেশ। ক্রমশ তা গোটা রাজ্য ছড়িয়ে পড়ছে। শুরু হয়েছে রাজনীতি চাপান-উতোর। মামলা ইতিমধ্যেই দৌড়েছে আদালতের দোরগোড়ায়।
এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যে কিছু রাজনীদিবিদদের মন্তন্য নতুন করে আরও বিতর্ক বাড়িয়ে তুলছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপিতে হিজাব পরিহিত ৬ ছাত্রীকে সরকারি কলেজে প্রবেশে দেওয়া হয়। সেই থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
তার পরে ক্ষোভের আগুন বাড়তে শুরু করে। এরই মধ্যে কর্নাটক হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একাধিক পিটিশনের শুনানি চলছে। গত সপ্তাহেই আদালতের তরফে মামলার শুনানি শেষ না হওয়া অবধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক না পরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি চলাকালে এক ছাত্রী কোরানের উদাহরণ টেনে এনে শুক্রবার ও রমজানের দিনগুলিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে আসার অনুমতি চান। আদালতের কাছে ছাত্রী জানায়, জুম্মাবার ও রমজানে হিজাব পরার অনুমতি দিন।
শুনানি চলাকালে আইনজীবী বিনোদ কুলকার্ণি দাবি করেন যে, হিজাব বিতর্কের জেরে গোটা দেশজুড়েই এক অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছে। হিজাব স্বাস্থ্য বা নৈতিকতার বিরোধী নয়। হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারির অর্থ হল পবিত্র কোরানেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা। ওই ছাত্রীও দাবি করেন, হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির অর্থ হল পবিত্র কোরানের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা।
মামলাকারী মুসলিম ছাত্রীদের তরফে হাজির আইনজীবী বিনোদ কুলকার্নি সওয়াল করেন। আইনজীবী কুলকার্ণি কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রীতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি জেএম কাজি ও বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিতের বেঞ্চের উদ্দেশে বলেন, হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গরিব মুসলিম মেয়েরাই সমস্যায় পড়ছে। আমার আদালতের কাছে আবেদন, ‘শুক্রবার অর্থাৎ মুসলিমদের জুম্মাবারে যেন ছাত্রীদের হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।”
বুধবার মামলার শুনানিতেও মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী রবি ভর্মা কুমার জানান যে, হিজাব ছাড়াও একাধিক ধর্মীয় চিহ্ন রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পরেন। ওড়না, চুড়ি, পাগড়ি, ক্রস টিপ। সেগুলো পরে এলে তো ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় না। এদিকে এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর যোগীর মন্তব্য, মেয়েদের ওপরে জোর করে হিজাব চাপিয়ে দেওয়া হয়। তারা পরতে চায় না।’ অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী সাদ্ধী প্রজ্ঞা বলেন, বাড়িতে হিজাব পরুন, বাড়িতে পরার দরকার নেই’।