অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারী।। বেসরকারি ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রার্থীদের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। তবে হরিয়ানা সরকারের সেই আইনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে হরিয়ানা সরকার।
হরিয়ানা সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই স্থগিতাদেশ তুলে নিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সুপ্রিম নির্দেশে হরিয়ানায় বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত আপাতত বহাল থাকছে।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী রায়কে খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং পিএস নারসিমহাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, সংশ্লিষ্ট হাই কোর্টকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে হরিয়ানায় ৩০ হাজার টাকার কম বেতনের বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণের আইন বহাল রইল।
রাজ্যের বেকার সমস্যার সমাধান করতে মনোহরলাল খাট্টার সরকার রাজ্যে বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষিত রাখার নতুন আইন চালু করেছিল। তবে সেই আইনে চাকরিতে মাসিক বেতন হবে ৩০ হাজার টাকার কম। রাজ্যের এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়।
সেই মামলায় পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণের এই আইনটি কার্যকর করা যাবে না। এই আইনের ফলে হরিয়ানায় বেকার সমস্যার সমাধানও সম্ভব নয়। এই আইনকে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে আইনির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাইকোর্ট। চলতি মাসের শুরুতেই হরিয়ানার মনোহরলাল খাট্টার সরকার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল।
রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায়, হাইকোর্ট তাদের বক্তব্য জানাতে মাত্র ৯০ সেকেন্ড দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টকে পুরো বিষয়টি শোনার নির্দেশ দিয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টকে। আইন বহাল রাখার নির্দেশ দিলেও সরকারি সিদ্ধান্ত না মানার জন্য কোনও বেসরকারি নিয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করা যাবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।