অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারী।। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া সৈন্য প্রত্যাহার করেছে বলে প্রকাশিত খবর ‘সত্য নয়’ বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। উল্টো তাদের অভিযোগ, সৈন্য প্রত্যাহারের পরিবর্তে মস্কো আরও সৈন্য পাঠিয়েছে, যা ইউক্রেনে আগ্রাসনের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের সিনিয়র এক কর্মকর্তা সৈন্য প্রত্যাহারের ‘ভুয়া’ ঘোষণার জন্য মস্কোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে মস্কো ‘সাত হাজারের বেশি সৈন্য’ বাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে বুধবার সীমান্তে পৌঁছেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অব্যাহতভাবে ইঙ্গিত পাচ্ছি যে আগ্রাসনের ন্যায্যতা দিতে যেকোনো সময় তারা মিথ্যা অজুহাতে হামলা চালাতে পারে।’ তিনি বলেন, মস্কো বলছে তারা কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে চায়। কিন্তু তাদের কার্যক্রম তা নির্দেশ করছে না।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের পাশাপাশি ন্যাটো জানায়, দখলকৃত ক্রিমিয়ায় সেনা মোতায়েনের পর রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলনস্কি বুধবার ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীর রিভন শহরের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাদের পশ্চিমাদের সরবরাহ করা ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্রের প্রশিক্ষণ মহড়া পরিদর্শনকালে দেশটিতে ‘একতা দিবসের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি সামরিক অলিভ গ্রিন পোশাক পরে মারিউপোল শহরের ফ্রন্টলাইন পরিদর্শন করেন। মহড়া পরিদর্শনকালে জেলনস্কি বলেন, ‘আমরা কাউকে, কোনো শত্রুকে ভয় পাই না, আক্রান্ত হলে আমরা নিজেদের রক্ষা করবো।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রদর্শিত ছবিতে দেখানো হয়েছে ক্রিমিয়ায় বড় একটি মহড়া শেষে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সেখানে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো প্রমাণ নেই জানিয়ে এক টেলিভিশন বক্তব্যে জেলনস্কি বলেন, ‘আমরা সেখানে সৈন্যদের ছোট ছোট রোটেশন (একদল সৈন্যের বদলে আরেক দল প্রতিস্থাপন) দেখতে পাচ্ছি। এই রোটেশনকে আমরা রাশিয়া সৈন্য প্রত্যাহার করেছে বলবো না। আমরা কোনো পরিবর্তন দেখছি না।’