অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারী।। রাশিয়া-যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের টানাপোড়েনের চাপে পড়ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও। দেশটিতে ফাস্ট-ট্র্যাক রেসিডেন্সি দেওয়া ভিসা বাতিল হতে যাচ্ছে।
সাধারণত যারা ২০ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে সক্ষম তাদের টায়ার ওয়ান ভিসার আওতায় যুক্তরাজ্যে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়। যা ‘গোল্ডেন ভিসা’ নামে পরিচিত। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত নতুন ঘোষণা আসবে।
২০০৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের ধনী ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য স্কিমটি চালু করা হয়। অপব্যবহারের কারণে এটি পর্যালোচনায়ও রাখা হয়েছিল। এই ভিসার বাহকেরা পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন।
সম্প্রতি ইউক্রেনে ‘অনুপ্রবেশের’ আশঙ্কা ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার চাপ দেয় যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা। এর মাঝেই নতুন ঘোষণা খবর এলো। ইতিমধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে ১ লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে।
যদিও কোনো ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা নেই জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মূলত কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে টায়ার ওয়ান ভিসা। ২০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগের পাঁচ বছরের মধ্যে রেসিডেন্সির আবেদনের অনুমতি পাওয়া যায়। যা অর্ধ কোটি পাউন্ডে তিন বছর বা এক কোটি বিনিয়োগে দুই বছরে আবেদন সংক্ষিপ্ত করা হয়।
২০০৮ সালে স্কিমটি খোলার পর থেকে হোম অফিস রাশিয়ান নাগরিকদের ১৪ হাজার ৫১৬টি বিনিয়োগকারী ভিসা দিয়েছে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে সম্প্রতি আলোচনায় আছে ‘গোল্ডেন ভিসা’র সুযোগটি। বলা হচ্ছিল, পুতিন প্রশাসনকে ধনীদের চাপে ফেলতে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে যুক্তরাজ্য।
২০২০ সালে সংসদে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কমিটি যুক্তরাজ্যে রুশ প্রভাবের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। এর অংশ হিসেবে টায়ার ওয়ান ভিসা অনুমোদনের জন্য ‘আরও শক্তিশালী’ পদ্ধতি যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস বলেছিল, দুর্নীতির সুবিধার্থে যেন এই ভিসা ব্যবহার না হয়, তাই কিছু সংস্কার আনা হয়েছে।