জিবিতে ছোট ছোট কিছু ঘাটতি রয়েছে , দূর করার জন্য উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে : সাংসদ প্রতিমা

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৭ সেপ্টেম্বর ।। সোমবার থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকালে জিবি হাসপাতালে যাবেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী জিবিতে এসে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে ১২ টি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। সেই ১২ টি বিষয়ের ফলোআপ করা হচ্ছে। জিবিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ভাল কাজ করছেন। কিন্তু সেগুলির সঠিক প্রচার প্রসার ঘটছে না। ছোট ছোট কিছু ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি গুলি দূর করার জন্য উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।

গত কিছু দিন আগে ৪৯ জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে নার্স। এছাড়া অন্যদের কাছে আহবান জানানো হয়েছে কেউ যদি কাজ করতে চান তারা এসে কাজ করতে পারবেন। এই আহ্বানে সারা দিয়ে ৬ আগরতলা ও এডি নগর কিছু থেকে কিছু ছেলেরা এগিয়ে এসেছে। এদের মূল কাজ হবে হেল্প ডেক্সে কাজ করা। মূলত রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া। কিছু কিছু রোগী রয়েছে যারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গিয়েও হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। গোটা প্রক্রিয়াটা যাতে দ্রুত করা যায় সেদিকে কাজ করবে তারা। কিছু কিছু অভিযোগ উঠছে জিবিতে কারেন্ট ও জলের।

কিন্তু জিবিতে জেনারেটার ও পুর নিগম থেকে দুটি জলের ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা রয়েছে। এই মুহূর্তে প্রচার মুখ্য নয়। প্রধান হল মানুষকে পরিষেবা দেওয়া। সেই কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকেরা। সোমবার এজিএমসির কনফারেন্স হলে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও আধিকারিক এবং জিবির স্বাস্থ্য কর্মী, চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠকে এই কথা জানান জিবির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। এদিন তাঁর পৌরহিত্যে গুরুত্ব পূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জিবিতে। করোনা চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। একই সঙ্গে অন লাইনে চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক আরো জানান গত দুই মাসে জিবিতে ৭০ টি শিশুর ডেলিভারী হয়েছে। সকলে সুস্থ আছে। এদিনও ৩টি হয়েছে।

রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অক্সিজেনের চাপ কত থাকে সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। iঅক্সিজেনের কোন সমস্যা হচ্ছে না। মূল বিষয় হল কোভীড বিষয়টা একটু উদ্বেগের । রোগীদের সঙ্গে আত্মীয় পরিজন থাকতে পারছেন না। তাই মানসিক দিক থেকে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এটা দূর করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজের কিছু ত্রুটি পেলেই তা দূর করা হচ্ছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান জিবির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?