অনলাইন ডেস্ক, ৭ সেপ্টেম্বর ।। ফের কোন্দল কংগ্রেসে। এবার সরাসরি সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করেই চিঠি উত্তরপ্রদেশের ৯ কংগ্রেস নেতার। কংগ্রেসকে বাঁচাতে এখনই কার্যকর ভূমিকা নিতে আবেদন করা হয়েছে দলের সভানেত্রীকেই। এমনকী পারিবারিক মোহ ছেড়ে বেরিয়ে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করে তুলতে দলের অন্তরে ‘গণতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনার পক্ষেও সওয়াল করেছেন ওই কংগ্রেস নেতারা। নতুন করে দলেই এই বিদ্রোহে স্বভাবতই অস্তস্তি বেড়েছে হাত-শিবিরে।
কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়ল। এবর নতুন করে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ৯ কংগ্রেস নেতা। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস নেতারা লিখেছেন, ‘পারিবারিক মোহ ছেড়ে দলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন। দল চালাতে সবার সম্মতি নিন। আপনি দায়িত্ব এড়ালে দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে কংগ্রেস দলটাই ইতিহাস হয়ে যাবে।’
চিঠিতে দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের প্রতিও অনাস্থা প্রকাশ করেছেন ওই কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের সাফ কথা, ‘বর্তমান সময়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে কংগ্রেস। দলের এক নেতার সঙ্গে অপর নেতার যোগাযোগ নেই। দলে মতামত জানানোর পরিসর কমছে।’জানা গিয়েছে, সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি পাঠানো উত্তরপ্রদেশের এই ৯ কংগ্রেস নেতার মধ্যে রয়েছেন, প্রাক্তন সাংসদ সন্তোষ সিং, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যদেব ত্রিপাঠি।
কিছুদিন আগেও একইরকমের অস্বস্তিতে পড়েছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। দলের প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলরা চিঠি লিখে নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। তার জেরে খোদ সোনিয়া গান্ধীও যথেষ্ট বিব্রত হয়েছিলেন। এমনকী সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করা দলেরই কয়েকজনের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। যা নিয়ে তুমুল বাদানুবাদ হয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বৈঠকে।
এমনকী কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জানিয়েও দেন, তাঁর সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশের প্রমাণ দিতে পারলে তিনি দল ছেড়ে দেবেন। নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কপিল সিব্বলও। যদিও পরে রাহুল গান্ধী নিজে তৎপর হয়ে সেই বিতর্ক মেটান।