অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ফেব্রুয়ারী।। ইউক্রেন সংকট সমাধানে এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বরিস জনসন। আলোচনা চালিয়ে যেতে সায় দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
পূর্ব ইউরোপের এই সংকট নিয়ে ফোনে ৪০ মিনিট এই দুই নেতা কথা বলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তারা মনে করেন, শিগগিরই রাশিয়ার আগ্রাসনের সতর্কতা সত্ত্বেও একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব। এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ নিরাপত্তা সংকট প্রশমনে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তাতে সায় দিয়েছেন পুতিন।
টেলিভিশন সম্প্রচারিত এক মতবিনিময়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছার ‘একটা সম্ভাবনা সবসময় আছে’ বলে মন্তব্য করেন ল্যাভরভ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেবো’। জবাবে পুতিন বলেন, ‘ভালো’।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখের বেশি সৈন্য এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করলেও অভিযান চালানোর বিষয়টি নাকচ করে আসছে মস্কো।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সম্ভাব্যতা ঘিরে কিয়েভ থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে একাধিক দেশ। শুরুটা যুক্তরাষ্ট্র করলেও, বর্তমানে ১২টির বেশি দেশ এখন ইউক্রেন থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
বিমান হামলা দিয়ে এ অভিযান শুরু হতে পারে। তবে রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগকে ‘উসকানিমূলক গুঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেছে। রাশিয়া নিজেও ইউক্রেনের দূতাবাসে কিছু পরিবর্তন আনছে। কিয়েভ ও তৃতীয় পক্ষের সম্ভাব্য উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশটি বলেছে, ইউক্রেনে নিয়োজিত কূটনীতিকদের ঢেলে সাজানো হবে।
শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন সংকট যাতে যুদ্ধের ময়দানে না গড়ায় এখন পর্যন্ত পর্দার সামনে-পেছনে চলছে কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা।