অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ফেব্রুয়ারী।। চলতি বছরের শুরু থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে থাকা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন জোট গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে হওয়া এক বৈঠকে এই জোট গঠন করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউই ইয়ং।
সোমবার এক প্রতিবেদনে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, বৈঠক শেষ একটি যৌথ বিবৃতিতেও দিয়েছেন তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার হিংসাত্মক মনোভাব এই জোট এবং জোটভূক্ত কোনো রাষ্ট্রের নেই; বরং জোট চাইছে উত্তর কোরিয়া যেন তার যুদ্ধ করার মনোভাব পরিহার করে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে আসে’।
বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন অভিযোগ করেন, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া এশিয়া অঞ্চলে সহিংসতা উস্কানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ওই অঞ্চলে শান্তির পক্ষে এবং এই বিষয়ে জোটের তিন রাষ্ট্র সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ’।
উত্তর কোরিয়াকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে সম্ভাব্য হামলা থেকে বিরত রাখতে অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সেসব পদক্ষেপ কেমন হবে- সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। উত্তর কোরিয়াকে পারমানবিক প্রকল্প থেকে বিরত রাখতে কয়েকবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পর ২০০৬ সালে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
জাতিসংঘের এই নিষেধাজ্ঞার পর দেশটি পারমাণবিক প্রকল্প বন্ধ করেছে কি না- সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি, কিন্তু তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্বল্প-মাঝারি ও দূরপাল্লার বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ও পরীক্ষা চালিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। চলতি বছরের শুরুতেই কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এসবের মধ্যে হোয়াসং-১২ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০০০ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।