অনলাইন ডেস্ক, ৭ সেপ্টেম্বর ।। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি রূপরেখা তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব ৩৫টি জেলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই জেলাগুলি যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্গত সেইসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে অতি সম্প্রতি বৈঠক করেছেন। এই ৩৫টি জেলা হল : পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মহারাষ্ট্রের পুনে, নাগপুর, থানে, মুম্বাই, মুম্বাই শহরতলি, কোলাপুর, সাঙ্গলি, নাসিক, আমেদনগর, রায়গড়, জলগাঁও, শোলাপুর, সাতারা, পালঘর, আউরঙ্গাবাদ, ধুলে এবং নান্দেদ, গুজরাটের সুরাট, ঝাড়খন্ডের পূর্ব সিংভূম, পুদুচেরীর পন্ডিচেরী এবং দিল্লীর ১১টি জেলার সবকটি।
স্বাস্থ্য সচিবরা ছাড়াও এই বৈঠকে জেলা কালেক্টর, পুরসভার কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট জেলার উর্দ্ধতন আধিকারিকরা ডিজিটাল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন।সংক্রমণের শৃঙ্খল হ্রাস করে পরবর্তীতে তা ভাঙতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেছেন। যাঁদের জটিল অসুখ রয়েছে এবং প্রবীন নাগরিকদের প্রতি নজর রাখতে হবে, সংক্রমিত এলাকায় বার বার খোঁজ-খবর নেওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে যথাযথভাবে মেনে চলা ও নমুনা পরীক্ষার হার ক্রমশ বৃদ্ধি করা, যাতে সংক্রমনের হার ৫ শতাংশের কম নামিয়ে আনা যায়।
স্বাস্থ্য সচিবরা সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তাঁরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করা, যেসব সংক্রমিত মারা গেছেন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা ছাড়াও আগামী একমাস পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাঁরা কি কি পরিকল্পনা নিয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। এই জেলাগুলিতে আরটি-পিসিআর এবং রাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। এছাড়াও অ্যান্টিজেন টেস্টে যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাদের পুনরায় টেস্ট করা, সংক্রমিতদের হাসপাতালে পাঠানো এবং হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থাযুক্ত বেডের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ওই এলাকাগুলিতে যেসব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সেগুলি হল : ১. শারীরিক দূরত্ব বজায় খা, বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলা এবং বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে সংক্রমন প্রতিরোধের মাত্রা হ্রাস করতে হবে।