অনলাইন ডেস্ক, ১৪ ফেব্রুয়ারী।। টম অ্যান্ড জেরি-র দেখতে দেখতে ৮২ বছর বয়স হয়ে গেল। অনেকেই মনে করেন, বাড়লে বয়স ছোট্টবেলার সবই নাকি হারিয়ে যায়। অথচ এই ইঁদুর-বিড়াল খেলার উন্মাদনা এখনও ফিকে হল না এতটুকু। আট থেকে আশি, সবার মন নিমেষে ভাল করে দিতে পারে বিরাশি বছরের এই দুই মূর্তিমান। বলাই বাহুল্য, তারা আর কেউ নয়, আমাদের খুব চেনা দুই কার্টুন চরিত্র— ‘টম অ্যান্ড জেরি’।
আপনি কি জানেন কার্টুন দুনিয়ার এই দুই চরিত্রের সাফল্যের আড়ালে রয়ে গিয়েছে কত আলো-আঁধারির গল্প?। ১৯৪০ সালে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই। এই পরিস্থিতিতেই ১০ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচার হল একটি নতুন কার্টুনের। পর্দায় উঠে এল ইঁদুর-বিড়ালের চিরশত্রুতার গল্প। তবে নিছক তাড়া করার ছবি নয়, তা হয়ে দাঁড়াল বুদ্ধির খেলা। শত্রু আকার আয়তনে যত বড়ই হোক না কেন, মগজাস্ত্র দিয়ে যে তাকে কাবু করা চলে, যুদ্ধের আবহে এই কথাটাই কায়দা করে বলে দিল এই ইঁদুর-বিড়াল জুটি। তারপর বাকিটা ইতিহাস। তুমুল জনপ্রিয়তায় অন্যদের পিছনে ফেলে দিল তারা, এমনকি জিতে নিল অস্কারও।
কিন্তু সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছনোর এই পথটা খুব অনায়াস ছিল না। প্রথম এপিসোড ‘পুস গেটস দ্য বুট’ যখন বেরোচ্ছে, তখন প্রযোজনা সংস্থার বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি। অ্যানিমেটেড শর্ট-এর ক্যাটেগরিতে অস্কার মনোনয়ন মিলে গেল যখন, তখনও এমনকি অ্যানিমেটরদের কোনও কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।
কারণ আদৌ এই জুটিকে নিয়ে আর এগোনো হবে কি না, এটাই তো ঠিক করতে পারছিল না ওই সংস্থা। কিন্তু এই সময়েই টেক্সাস থেকে একজন প্রভাবশালী শিল্পপতির চিঠি এল। সেই মজার বেড়াল-ইঁদুরকে আবার কবে দেখা যাবে, জানতে চেয়েছিলেন সেই ভদ্রলোক। আর এই চিঠিটাই এই জুটির ভাগ্য খুলে দিল। শুরু হল উইলিয়াম হানা এবং জো বারবারা নির্মিত এই কার্টুনের পথচলা।