অনলাইন ডেস্ক, ১৪ ফেব্রুয়ারী।। ১৯ জানুয়ারি তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়। ওই ছাত্রী তাঞ্জাভুরের সেন্ট মাইকেল গার্লস হোম নামে একটি বোর্ডিং হাউসে থাকত। প্রথমে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিও।
সেই ভিডিওতে আত্মঘাতী মেয়েটি জানিয়ে গিয়েছে, ওই বোর্ডিং হাউসে তাকে দিয়ে ঘরদোর পরিষ্কার করা-সহ সমস্ত কাজ করানো হত। এমনকী, তাকে জোর জবরদস্তি করে খ্রিস্টান ধর্ম নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এরপরে ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাটি আদালতে গড়ায়।
প্রথমে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর প্রকৃত তদন্তের দাবিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টেও তামিলনাড়ু সরকারকে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে হল। এদিন শীর্ষ আদালত তার নির্দেশে তামিলনাড়ু সরকারকে বলেছে, সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্টের আদেশের বিরোধিতা করে মামলাটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা হয়েছে।
এটা ঠিক না। এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে পুলিশ এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছে সেগুলি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, জোর করে ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করার যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্তও করবে সিবিআই। যদিও রাজ্যের শাসক দল ডিএমকের অভিযোগ, বিজেপি একটি আত্মহত্যার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টি দিয়ে দেখছে।
তারা বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক প্রচার করে অশান্তির আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছে। ডিএমকে নেত্রী কানিমোজি বলেছেন, বিজেপি নির্বাচন পেরে না উঠে তামিলনাড়ুতে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। বিজেপি বৈষম্য ও জাতপাতের রাজনীতি করতে অভ্যস্ত। এখানেও তারা সেই চেষ্টা করছে। এক নাবালিকার মৃত্যুকে বিজেপির যেভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।