অনলাইন ডেস্ক, ১৪ ফেব্রুয়ারী।। অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে রাশিয়া ও ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি গ্রুপের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বসতে চায় ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, সীমান্তে সৈন্য জড়ো করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও কোনো জবাব দেয়নি রাশিয়া।
তিনি বলেন, রাশিয়ার পরিকল্পনার ‘স্পষ্টতা’ জানতে এখন ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকের অনুরোধ জানানো। এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখের বেশি সৈন্য ও যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করলেও অভিযান চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সম্ভাব্যতা ঘিরে কিয়েভ থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে একাধিক দেশ। শুরুটা যুক্তরাষ্ট্র করলেও, বর্তমানে ১২টির বেশি দেশ এখন ইউক্রেন থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। বিমান হামলা দিয়ে এ অভিযান শুরু হতে পারে।
তবে রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগকে ‘উসকানিমূলক গুঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেছে। রাশিয়া নিজেও ইউক্রেনের দূতাবাসে কিছু পরিবর্তন আনছে। কিয়েভ ও তৃতীয় পক্ষের সম্ভাব্য উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশটি বলেছে, ইউক্রেনে নিয়োজিত কূটনীতিকদের ঢেলে সাজানো হবে। ইউক্রেন ইস্যুতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা নিয়ে গত শনিবার ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয় পুতিন ও বাইডেনের।
মূলত সংকট প্রশমনেই দুজনের মধ্যে এই ফোনালাপ। দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ সম্পর্কে রুশ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশকভ বলেন, আলোচনাটি ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। তবে বৈঠক থেকে ইউক্রেন সংকট সমাধানে কোনো সমাধান আসেনি।
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করলে মস্কোর ওপর চরম পরিণতি নেমে আসবে বলে পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন বাইডেন। ইউক্রেন সংকট যাতে যুদ্ধের ময়দানে না গড়ায় এখন পর্যন্ত পর্দার সামনে-পেছনে চলছে কূটনৈতিক উপায়ে সংকট সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা।