অনলাইন ডেস্ক, ৭ সেপ্টেম্বর ।। এবার একাধিক বড় মাপের সংস্কার করতে চলেছে ভারতীয় রেল। রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একাধিক ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি যে ট্রেনগুলি কার্যত যাত্রীশূন্য অবস্থায় চলাচল করে সেগুলিকে আর চালানো হবে না। রেল বোর্ড কোনও অবস্থাতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই একাধিক ট্রেন চালানো হয়। পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকলেও রাজনৈতিক কারণেই ওই সমস্ত ট্রেনগুলি একাধিক স্টেশনে দাঁড়ায়। এর ফলে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হয়, তেমনই যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। এ অবস্থায় রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে ট্রেনগুলি দিনের পর দিন লোকসান করে ছুটে চলেছে সেগুলি আর চালানো হবে না। লোকসানে চলা এমন ৫০০ ট্রেনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এই ট্রেনগুলি বন্ধ করে দেওয়া হলে তার ফলে যাতে যাত্রীদের ভুগতে না হয় সেজন্য বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিভিন্ন ট্রেনের ১০ হাজার স্টপেজ তুলে দেওয়া হবে। যদিও এগুলির মধ্যে বেশিরভাগই প্যাসেঞ্জার ট্রেন। প্যাসেঞ্জার ট্রেনে কোনও স্টেশনে কমপক্ষে ৫০জন যাত্রী ওঠানামা করলে সেই স্টেশনগুলি অবশ্য বন্ধ হবে না। কিন্তু যেখানে ৫০ জন যাত্রী ওঠানামা করেন না সেই সমস্ত স্টপেজগুলি তুলে দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবে স্টপেজ কমলেই ট্রেনের গতি বাড়বে। পাশাপাশি লোকসানে চলা ট্রেনগুলি তুলে দিলে রেলের ট্রাক অনেকটাই খালি পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রেও ট্রেনের গতি বাড়বে। আবার নতুন টাইম টেবিলে কয়েকটি মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনকে সুপারফাস্ট ট্রেনে উন্নীত করা হবে। যে ট্রেনের গড় গতি ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার সেগুলিকে সাধারণত সুপারফাস্ট বলা হয়। তাই সুপারফাস্ট ট্রেন হিসেবে উন্নীত হলে রেলের আয় বাড়বে।
করোনাজনিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে দেশে রেল চলাচল শুরু হলে জিরো বেস টাইম টেবিল মেনে ট্রেন চালানো হবে বলেও রেল বোর্ড জানিয়েছে। এরই মধ্যে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশে ৪০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। ১০সেপ্টেম্বর এই ট্রেনগুলির টিকিট বুকিং শুরু হবে। এই ট্রেনগুলি পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলের পক্ষেই সুবিধাজনক হবে। পাশাপাশি ধাপে ধাপে স্পেশাল ট্রেনের আরও বাড়ানো হবে বলেও যাদব জানিয়েছেন।