অনলাইন ডেস্ক, ১১ ফেব্রুয়ারী।। ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে শক্তিশালী করতে পোল্যান্ডে পৌঁছেছে মার্কিন এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির লাস্ক শহরের একটি বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির ন্যাটো মিত্ররা জানিয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়া ইতিমধ্যে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপজুড়ে এখন যুদ্ধের দামামা বাজছে। ইউক্রেন সীমান্তে মস্কোর সেনা মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা রুখতেই এ আয়োজন। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে এর মধ্যেই সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সে ধারাবাহিকতায় এবার যুদ্ধবিমান পাঠানো হলো। পোল্যান্ডের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন করতে শিগগিরই দেশটিতে সফরে যাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পোল্যান্ডে এফ-১৫ পৌঁছানোর বিষয়টি বৃহস্পতিবারই এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউস ব্ল্যাশজাক। তিনি বলেন, লাস্ক শহরের বিমানঘাঁটিতে মার্কিন এফ-১৫ যুদ্ধবিমান এসে পৌঁছেছে। এগুলো ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় বহরকে সহায়তা করবে। কতগুলো যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডে পৌঁছেছে, তা নিশ্চিত করেননি পোল্যান্ডের মন্ত্রী। অপরদিকে দেশটির পাশাপাশি ইউক্রেনকে ঘিরে থাকা বাল্টিক দেশগুলোতেও এফ-১৫ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস ঘোষণা দেন, পোল্যান্ডে ৩৫০ জন ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এরপর গতকালই তার পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, পূর্ব ইউরোপে মিত্র দেশগুলোকে সহায়তা করতে আরও সেনা পাঠাবে লন্ডন। এদিকে ইউক্রেনকে ঘিরে চলমান উত্তেজনা সামাল দিতে দেশটির সঙ্গে ক্রেমলিনের গতকালের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। তবে আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছে তারা।