অনলাইন ডেস্ক, ৯ ফেব্রুয়ারী।। মধ্যবয়সী স্বামীর হাতে মাত্র ১৭ বছর বয়সী স্ত্রীকে খুনের একটি ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে পুরো ইরানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায় মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি এক হাতে একটি ছুরি ও আরেক হাতে নিজের স্ত্রীর কাটা মাথা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে রীতিমতো কাঁপছে পুরো ইরান।
দেশটিতে নারীদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি আবার নতুন করে সামনে এসেছে। ইরানেরর গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, মোনা হায়দারী নামে মাত্র ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী গৃহবধূকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার স্বামী ও দেবর। মোনা হায়দারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। কাটা মাথা হাতে ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর ওই পাষণ্ড স্বামী ও তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে ইরানের পুলিশ। এখন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে দাবি ওঠেছে, মেয়েদের সর্বনিম্ন বিয়ের বয়স বাড়ানোর জন্য।
বর্তমানে ইরানে ১৩ বছর হলেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায়। হত্যার স্বীকার হওয়া মোনার বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর বয়সে। তার ৪ বছর বয়সী একটি সন্তানও আছে। জানা গেছে মাত্র ১৭ বছর বয়সী মোনাকে নিয়মিত নির্যাতন করত তার স্বামী। আর শেষ পরিণতি হিসেবে নির্মমভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হলো তাকে।