অনলাইন ডেস্ক, ৮ ফেব্রুয়ারী।। চীনের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের কূটনৈতিক লড়াইয়ে নতুন মোড় দিয়েছে চলমান শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিক। বিশেষ করে বেইজিং-এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উইঘুর মশাল বাহকের ব্যবহার নিয়ে তর্ক জমে উঠেছে। ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের এক মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত।
বলা হচ্ছিল, মুসলমান সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্রমাগত যে অভিযোগ তাকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এর পরপরই এলো পাল্টা উত্তর। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত জাঙ্গ বলেন, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে যে মন্তব্য করেছেন চীন কঠোর ভাষায় সে সব অযৌক্তিক অভিযোগ অস্বীকার করছে।
জাঙ্গ বলেন, সিনজিয়াং-এ জন্মগ্রহণকারী ক্রস কান্ট্রি স্কিয়ার দিনিজিয়ার উইলামুজিয়াং শীতকালীন গেমসে টিম চায়নাতে ২০ জন জাতিগোষ্ঠী সংখ্যালঘু খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ খেলোয়াড়। তিনি বলেন, ‘দিনিজিয়ার আমাদের অহংকার এবং চীন জনগণের চমৎকার এক প্রতিনিধি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যাতীত ক্রোধ কোথা থেকে আসতে পারে এবং এতে কী ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয়?’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও অধিকার গ্ৰুপগুলোর অনুমান ২০১৬ সাল থেকে সিনজিয়াংয়ের শিবিরগুলোতে বিশেষত উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুসহ ১০ লাখের বেশি লোককে আটক রাখা হয়েছে। চীন সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানায় যে, বৃত্তিমূলক কেন্দ্র হিসেবে শিবিরগুলো গড়া হয়েছে, যার লক্ষ্য উগ্রবাদ নির্মূল বা প্রতিহত করা। চীন জানায়, ২০১৯ সালের শেষ ভাগে শিবিরের সকল লোকজন ‘স্নাতকোত্তর’ ডিগ্রি লাভ করেছেন। গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদের অংশ কূটনীতিকভাবে অলিম্পিক বয়কটের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ। তখন পাল্টা ব্যবস্থার ঘোষণা দেয় চীন।