Mission: অনেকটা আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যা অভিযানের কায়দায় মিশন

অনলাইন ডেস্ক, ৪ ফেব্রুয়ারী।। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর প্রধান নেতা আবু ইব্রাহিম আল কুরাইশিকে হত্যা করার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তারপর অনেকটা আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যা অভিযানের কায়দায় মিশন চালানো হয়।

তবে কুরাইশি ধরা না দিয়ে সপরিবারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন। আই এস এর আগের প্রধান নেতা বাগদাদিও এভাবেই আত্মঘাতি হয়েছিলেন। সিরিয়ার উত্তর ইদলিব প্রদেশের আতমেহ শহরের উপকণ্ঠে একটি তিনতলা আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী।

শহরটি তুরস্ক সীমান্তবর্তী ও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত। উত্তর ইদলিব অঞ্চলটি আইএসের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী জিহাদি সংগঠনগুলোর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি। সেই সঙ্গে সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত তুরস্ক-সমর্থিত বিদ্রোহী দলগুলোও সেখানে শক্তিশালী। মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে নিশ্চিত তথ্য ছিল যে কুরাইশি আতমেহ শহরের আবাসিক ভবনটির দোতলায় পরিবারের সঙ্গে বাস করছিলেন। সেখান থেকেই তিনি বার্তাবাহকের মাধ্যমে সিরিয়া এবং অন্যত্র তার নির্দেশনা প্রচার করে আইএস চালাতেন।

‘দ্য ডেস্ট্রয়ার (ধ্বংসকারী)’ নামে পরিচিত কুরাইশি তার পূর্বসূরি আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর পর ২০১৯ সালে আইএসের নেতা হয়েছিলেন। তিনি হাজি আবদুল্লাহ এবং আমির মোহাম্মদ সাইদ আবদুল রহমান আল-মাওলা ও আবদুল্লাহ কারদাশ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। আইএস বাগদাদির মৃত্যুর চার দিন পর তার নেতৃত্বে বসার কথা ঘোষণা করলেও, কুরাইশিকে এই ভূমিকার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুত করা হয়েছিল। সংগঠনের ভবিষ্যৎ দায়িত্ব গ্রহণের প্রত্যাশায় তাকে প্রত্যক্ষ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে রাখা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

আতমেহর ওই বাড়িতে থাকার সময় কুরাইশ ছাদে গোসল করা ছাড়া কখনো বাইরে যাননি। সেখানে বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের উচ্চঝুঁকি ছিল। কারণ অন্য একটি পরিবার নিচতলায় থাকত। ধারণা করা হয়, তারা আইএসের সঙ্গে যুক্ত নয় এবং কুরাইশির উপস্থিতি সম্পর্কে অবগতও ছিল না।

ujjivan
sbi life
hero
hdfc
dailyhunt
bazar kolkata
adjebra

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?