অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জানুয়ারি|| মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার পরিণতি ‘ভয়াবহ’ হবে এবং এই যুদ্ধে বিশাল সংখ্যক মানুষ মারা যাবে।
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ১ লাখ রুশ সেনা সমাবেশকে স্নায়ু যুদ্ধের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ বলে বর্ণনা করেছেন।
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, কূটনীতির মাধ্যমে এখনো সংঘাত এড়ানো সম্ভব।
ওদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন ওই অঞ্চলের জন্য একটি হুমকিস্বরূপ।
শুক্রবার মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল মিলি সতর্ক করে দেন যে, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে যে মাত্রায় রাশিয়ার সেনা সমাবেশ করা হয়েছে তার অর্থ হল হামলা হলে তার গুরুতর পরিণতি ভয়াবহ হবে।
মার্কিন সেনার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এর চেয়ারম্যান মিলি বলেন, ‘যদি এই পরিমাণ সেনা ইউক্রেনে পাঠানো হয়, তাহলে এর ফলাফল হবে গুরুতর এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হতাহতের ঘটনা ঘটবে’।
জেনারেল মিলি বলেন, ‘ঘন শহুরে এলাকায় যুদ্ধ হলে তা খুব ‘ভয়াবহ হবে, এটা হবে ভয়ানক’।
‘হামলা অনিবার্য নয়’
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, আরও অস্ত্র সরবরাহ করা সহ ইউক্রেনকে আত্মরক্ষায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে অস্টিন বলেছেন ‘সংঘাত অনিবার্য নয়। কূটনীতির জন্য এখনো সময় এবং সুযোগ আছে’।
পুতিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিকে সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেওয়ার কোন কারণ নেই… তিনি তার সৈন্যদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন’।
তবে রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনকে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য করা যাবে না। তাহলেই শুধু তারা উদ্বেগমুক্ত থাকতে পারবে এবং ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের সীমান্তে রুশ সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানানোর পর পেন্টাগন থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হল।
কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, গত বসন্তেও একই ধরনের সৈন্য সমাবেশ করেছিল রাশিয়া। এবার তিনি আগের চেয়ে বেশি হুমকি দেখেছেন না।
তিনি বলেন, ‘এমনকি অনেক রাষ্ট্রের সম্মানিত নেতাও শুধু বলছেন যে, আগামীকালই যুদ্ধ শুরু হবে। এভাবে আতঙ্ক ছড়ালে আমাদের রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে’।
তিনি বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতা’ ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।