স্টাফ রিপোর্টার, কদমতলা, ৫ সেপ্টেম্বর।।1973 সালে পথচলা শুরু হয়েছিল বর্তমান কদমতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটির। তখনকার সময়ে ভাঙ্গা টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি ছিল এই চিকিৎসার পরিসেবা কেন্দ্রটি । তার দীর্ঘ বছর পর 10 শয্যা বিশিষ্ট আসন নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল কদমতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি । এলাকার জনসংখ্যার নিরিখে এটা ছিল খুবই স্বল্প মাত্রায় ।
এলাকাবাসীর দীর্ঘ দাবি ও আন্দোলনের ফসল হিসাবে 2016 সালের এপ্রিল মাসে আরো ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি নতুন বিল্ডিং এর সূচনা হয়। বর্তমানে মোট 30 শয্যাবিশিষ্ট আসন নিয়ে চলছে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেটি । বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন এলোপ্যাথিক তিনজন, হোমিওপ্যাথিক একজন, দন্ত চিকিৎসক একজন এবং চক্ষু চিকিৎসক একজন । স্টাফ নার্স রয়েছেন ছয়জন, ফার্মাসিস্ট একজন । তাছাড়া আয়ুষ্মান চিকিৎসাসেবায় রয়েছেন দুইজন এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান রয়েছেন দুইজন । এছাড়াও হাসপাতাল সাফাই কর্মী রয়েছেন 6 জন এবং অফিস স্টাফ রয়েছেন দুইজন । পাশাপাশি কদমতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে দশটি সাব সেন্টার ।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং এলাকার জনপ্রিয় চিকিৎসক হিসেবে এই হাসপাতালে দায়িত্বে ছিলেন ডক্টর অরুণাভ চক্রবর্তী । কিছুদিন পূর্বে তাঁকে উত্তর জেলার সিএমও এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । এমনিতেই এলাকার জনসংখ্যার নিরিখে চিকিৎসক সংখ্যা খুবই সীমিত । এর মাঝে বর্তমানে কদমতলা হাসপাতালের করোনা পজেটিভ আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন । ফলে তিন দিনের জন্য হাসপাতালে সম্পূর্ণ পরিষেবা বন্ধ ছিল । শনিবার থেকে পুনরায় চালু হলো হাসপাতালের ওপিডি বিভাগের কাজ – জানালেন ডক্টর দিপাল চাকমা ।