অনলাইন ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারি|| গত দুই বছরে করোনার দাপটে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে, এই সংখ্যা বৃহস্পতিবার নাগাদ ৯ লাখ ছড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ, বিশ্বের করোনায় মারা যাওয়া প্রতি ৬ জনের একজন যুক্তরাষ্ট্রের।
মৃত্যুর হিসেবে এর পরে থাকা দেশের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটির তফাৎ প্রায় ৩ লাখ। এ ছাড়া শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।
এ দিকে সর্বশেষ নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে বিশ্বে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্ত রোগী।
পরিসংখ্যান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জানায়, এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট শনাক্ত হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৫ জন রোগী ও মারা গেছে ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৫৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৯ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৮ জন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথমবার কভিড-১৯ শনাক্ত হয় ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরের বছরের জানুয়ারি থেকে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে।
গত দুই বছরে দেশে দেশে লকডাউন, বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি পালন, গণ টিকাদান ও সর্বশেষ বুস্টারের অনুমতি সত্ত্বেও করোনা এখনো দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে। অতি সংক্রমণশীল ডেল্টার পর এখন আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন।
আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৯ লাখ ২ হাজার ১৪০ জন।
৪ কোটি ৬ লাখ ২২ হাজার ৭০৯ জন শনাক্তের হিসাব নিয়ে সংক্রমণে দ্বিতীয় ভারত। দেশটিতে মারা গেছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৫৬ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ৯২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯২২ মানুষ, যা মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয়।
ফ্রান্সে ১ কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৭২৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৫ জন।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে ১ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৪ জন শনাক্তের বিপরীতে মারা গেছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তালিকায় আক্রান্তের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৮। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তরফে জানানো হয়, করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জন মারা গেছে। এ নিয়ে মোট মারা গেছে ২৮ হাজার ২৮৮ জন। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত ১৫ হাজার ৮০৭ জন শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।