অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জানুয়ারি|| প্যারিসে বুধবার কয়েক ঘণ্টার আলোচনার পর পূর্ব ইউক্রেনে একটি স্থায়ী অস্ত্রবিরতি ‘নিঃশর্তভাবে’ পালন করতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।
সিএনএন জানায়, এলিসি প্রাসাদের এই আলোচনায় উপস্থিত ছিল ইউক্রেন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিরা।
চলতি বছরের শুরুতেই মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। দুই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের এই বিরোধে সীমান্তে রাশিয়ার ব্যাপক সৈন্য মোতায়েন যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করে।
বুধবারের বৈঠকে মস্কোর মূল আলোচক দিমিত্রি কোজাক বলেন, অস্ত্রবিরতি অবশ্যই নিঃশর্তভাবে পালন করতে হবে, তবে পূর্ব ইউক্রেনের অন্যান্য বিষয়গুলো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
যুদ্ধাবস্থার অবসানের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য পশ্চিমা কর্মকর্তারা চাপ অব্যাহত রাখেন ও ২০১৫ সালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতির প্রোটোকল সামনে আনেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্রান্সের এক কূটনীতিক। তিনি একে ‘ভালো সংকেত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর একদিন আগে ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্য ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। পাশ্চাত্য দেশসমূহের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) থেকেও রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়।
রাশিয়ার সঙ্গে তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের সাম্প্রতিক উত্তেজনা এই ন্যাটোকে ঘিরেই। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই দিন দিন তিক্ত হচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক।
রাশিয়ার একমাত্র সামুদ্রিক জলপথ কৃষ্ণসাগর।
এই সাগরের উপকূলবর্তী অপর দেশ ইউক্রেন যদি ন্যাটোর সদস্য হয়, সে ক্ষেত্রে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে ন্যাটোর তৎপরতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে এবং এটি কখনই রাশিয়ার চায় না।