অনলাইন ডেস্ক, ২৬ জানুয়ারী।। বুধবার দেশের ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অনেকের অজান্তেই এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল দিল্লির রাজপথ। এই দিনে দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর নিল রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী ঘোড়সওয়ার বাহিনীর গর্ব ‘বিরাট’।
এই বিরাট-কে দেশের সবথেকে সেরা ঘোড়া বা বলা যেতে পারে ঘোড়াদের রাজা। দেশের সব প্রেসিডেন্টের বডিগার্ড টিমে একদল ঘোড়া রয়েছে। তাদের ‘ক্যাপ্টেন’ এই বিরাট। সে নিজেও একটা কালো ঘোড়া। বিরাট রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী কমান্ড্যান্টের চার্জার।
বিরাট নামের ঘোড়াটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাচীনতম রেজিমেন্টের গর্ব এবং তাদের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত প্রভাবশালী। দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের সময় অবসর নেওয়া বিরাটকে আদরে ভরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বুধবার শেষ বারের মতো রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের লিমুজ়িনকে এসকর্ট করে রাজপথ অবধি নিয়ে গিয়েছিল বিরাট। এবার থেকে আর দেশের প্রথম নাগরিকের কনভয়ে তাঁর স্থান হবে না, অবসরের বয়স হয়ে গিয়েছে যে। বিরাটের বিদায়ে সবথেকে বেশি মন খারাপ রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের।
উল্লেখ্য, এদিন দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে সাধারণতন্ত্র দিবস। কোভিডবিধি মেনে এবার দিল্লির রাজপথে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণতন্ত্র দিবসে সীমান্তে সৌজন্য। রীতি মেনে আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় করলেন ভারত ও পাকিস্তানের সেনা।
দিল্লির রাজপথে দেখা যায় ফৌজের সেঞ্চুরিয়ান ট্যাঙ্ক, পিটি-৭৬, অর্জুন এমকে-ওয়ান ট্যাঙ্কও। শুধু তাই নয়, এদিন দিল্লির রাজপথে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান প্রদর্শন কেন্দ্রের। নগরান্নয়ন মন্ত্রকের তরফে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ ট্যাবলো। সেখানে তাঁর আবক্ষ মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তাঁর অবদান তুলে ধরা হয়েছিল। সঙ্গে শোনা যায় নেতাজির কণ্ঠস্বরও।