স্টাফ রিপোর্টার, আমবাসা, ২৬ জানুয়ারি।। যুব সমাজই হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে আজকের যুব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। আজ ধলাই জেলার আমবাসায় জেলাভিত্তিক ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তিনি বিভিন্ন বাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। জেলাভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আমবাসা দশমীঘাট ময়দানে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পরিমল দেববর্মা, আমবাসা পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন মমতা দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন গোপাল সূত্রধর, জেলাশাসক ও সমাহর্তা গোভেকার ময়ূর রতিলাল এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও আরক্ষা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক ও বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিলো ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।
আর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংবিধানের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। আজ আমরা ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস সারা রাজ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করছি। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী বলেন, যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে দূরে রাখতে রাজ্য সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের ডাক দিয়েছে। সরকারের এই আহ্বানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাবগুলি এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, যুব সমাজ সঠিক দিশায় এগিয়ে যেতে পারলেই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়া যেমন সম্ভব হবে তেমনি আগামীদিনে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরাও গড়ে উঠবে। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের মানুষের সার্বিক বিকাশে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বহুমুখী প্রকল্পের সুযোগ প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এরফলে রাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটছে।
কোভিড টিকাকরণেও সরকার ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ১৫-১৮ বছরের ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানেও সাফল্য এসেছে। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে পানীয়জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শহর ও গ্রামে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের পাকা বাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে।
জেলাভিত্তিক ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে জেলায় রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন, কোভিভ টিকাকরণ, কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য, এমজিএন রেগায় শ্রমদিবস সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য এবং প্রশাসনে উল্লেখযোগ্য পারদর্শিতার জন্য জেলার বিভিন্ন আধিকারিক ও সরকারি কর্মীদের করা হয়।
এ সমস্ত কাজে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন আমবাসা ব্লকের বিডিও ধ্রুবজিৎ দেববর্মা, রইস্যাবাড়ি ব্লকের বিডিও সুশীল কুমার রিয়াং, ছামনু ব্লকের বিডিও ললিত চাকমা, ধলাই জেলাশাসক অফিসের উপসমাহর্তা গিভিয়ন মলসম, ডিস্ট্রিক্ট ইমিউনাইজেশন অফিসার ডা. সুভাষ বড়ুয়া, জেলা হাসপাতালের সুপার ডা. সাগর মজুমদার, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার দীপন কর, আমবাসা আরডি ডিভিশনের প্রকৌশলী সীতেন্দ্র বিশ্বাস, এসডিও পিডব্লিউডি (ইনটার্নাল ইলেকট্রিফিকেশন) সুশান্ত আচার্য ও এমওআইসি মনু সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।