আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর।। আমরা জন্মের পর থেকে আমৃত্যু শিখে চলি। কখনও প্রথাগত ভাবে, আবার কখনও অপ্রথাগতভাবে। সেই শেখায় আমাদের বাবা ও মা-ই আমাদের প্রথম ও পরম গুরু। স্কুলে ভর্তি জীবনের আগে পর্যন্ত আমরা বাড়িতেই অ আ ক খ, ছড়া, রং চেনা, পশুপাখিদের ছবি চেনা বাড়িতেই শিখে যাই বাবা মায়ের কাছ থেকেই। তারপর শুরু হয় আমাদের স্কুল জীবন।
সেখানে একাধিক শিক্ষকের সান্নিধ্যে আসি। একজন ছাত্রছাত্রীর জীবনে যোগ্য শিক্ষকের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ শিক্ষকই পারেন তার ছাত্রকে নিশ্চিত রূপে আদর্শগত ভাবে রূপান্তর করতে। আগামী জীবনযাত্রায় প্রতিটি উপযুক্ত জীবিকা ও সৎ নাগরিক তথা মানুষ গড়ার কারিগর তাঁরাই। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল তাই বলেছেন, “যাঁরা শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তাঁরা অবিভাবকদের থেকেও অধিক সম্মানীয়। পিতামাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই। শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন।”এই শিক্ষকদের সম্মানার্থে ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করা হয়।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ৫ অক্টোবর, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। ইউনিসেফ থেকেও ৫ই অক্টোবর দিনটিই ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবসের’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন ৫ই সেপ্টেম্বর বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। দিনকাল বদলেছে, সেই সাথে শিক্ষকদের মানসিকতা।
তাদের গাফিলতির ফলে শিক্ষাব্যবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হতে দেখছি, শিক্ষার মান যাচ্ছে তলানিতে। পাশাপাশি কুমতির শিক্ষকদের যৌন লালসার শিকারও হতে শোনা যায়। ফলে এই মহান পেশায় আজ বহুলাংশে দাগ লেগে যাচ্ছে। সেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে আজ এই শিক্ষক দিবসের শুভ দিনে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত প্রত্যেকের অঙ্গীকার হোক নিজেকে প্রকৃত শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার।