অনলাইন ডেস্ক, ২২ জানুয়ারী।। মিয়ানমার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলছে বড় দুই জ্বালানি কোম্পানি টোটালএনার্জিস ও শেভরন। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশটিতে ‘ক্রম অবনতিশীল’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে তারা।
ফ্রান্সের তেল কোম্পানি টোটালের তরফে শুক্রবার বলা হয়, মানবাধিকার ও সাধারণভাবে আইনের শাসনের পরিস্থিতি, যা কিনা মিয়ানমারে খারাপ হয়েই চলেছে। যা তাদের পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে।
আন্দামান সাগরে অবস্থিত ইয়াদানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিজেদের সরিয়ে নিবে টোটালএনার্জিস।
কোম্পানিটি জানায়, গ্যাস উৎপাদন বন্ধ ও সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ (এমওজিই)-কে পরবর্তী পাওনা প্রদান বন্ধ ছাড়া জান্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আর কোনো উপায় খুঁজে পায়নি তারা।
এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের রয়্যাল ডাচ শেল জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারের সঙ্গে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের লাইসেন্স নবায়ন করবে না।
কয়েক দিন আগে নরওয়ের টেলিকম অপারেটর টেলিনর মিয়ানমারের একটি ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবায় তাদের অংশটি বিক্রি করে দিয়েছে।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক নেতা অং সান সু চি-কে উৎখাতের করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় সৃষ্ট বিক্ষোভে দেশটিতে দেড় হাজারের মতো মানুষ মারা যায়।
অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ ও নিষেধাজ্ঞা বেড়ে চলেছে।