অনলাইন ডেস্ক, ১৫ জানুয়ারি।। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সেখানে এক দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হবে ১০ মার্চ। এদিকে দিল্লির বাইরে পঞ্জাবে নিজেদের আরও সক্রিয় করে তুলতে জোরদার প্রস্তুতিতে আম আদমি পার্টি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জমা পড়েছে প্রায় ২.৮ লক্ষ পরামর্শ। দলের দেওয়া একটি নির্দিষ্ট নম্বরে আম আদমি পার্টির জন্য ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’র জন্য নিজেদের পছন্দের নাম জানাতে পারবে জনগণ। আর সেই আবেদনেই মিলেছে বিপুল সাড়া। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক ফোন নম্বর চালু করেছেন, সেখানে জনগণ এই প্রস্তাবকে বিপুলভাবে সমর্থন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি ফোন নম্বর জানান কেজরিওয়াল। নম্বরটি হল ৭০৭৪৮৭০৭৪৮। ১৭ জানুয়ারি বিকেল ৫ টা অবধি এই নম্বর চালু থাকবে।
উল্লেখ্য, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত কেজরিওয়াল। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবে তার দায়িত্ব জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এই পরামর্শ জানানোর শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি। তবে এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ২.৮ লক্ষ পরামর্শ এসে জমা হয়েছে বলে জানান আপ সুপ্রিমো।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, পঞ্জাবে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর জন্য জনগণ তাঁদের পরামর্শ এই নম্বরে পাঠাতে পারবেন। ইতিহাসে এটা প্রথমবার যে, কোনও রাজনৈতিক দল বিধানসভা নির্বাচনে তাদের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করার পরামর্শ আম জনতার থেকে নিচ্ছে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে অরিবন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন পঞ্জাবে আপের প্রধান ভগবন্ত মান এবং পঞ্জাবে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আপ নেতা রাঘব চাড্ডা।
জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর তালিকায় আম আদমি পার্টির একনম্বরে নাম রয়েছে ভগবন্ত মানের। দলের অন্দরের খবর তাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চায় আপ। এদিকে জানা গেছে ভগবন্ত মান নাকি নিজেই জনগণের পরামর্শকে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন।
কেজরিওয়ালের বক্তব্য, জনমত অনুযায়ী ১১৭ আসনের পঞ্জাব বিধানসভায় ৫৭ থেকে ৬০ টি আসন যেতে পারে আম আদমি পার্টির ঝুলিতে। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই জোরকদমে ঝাঁপিয়েছে আপ।
সাধারণ জনসাধারণকে গুরুত্ব দিতেই আপের এই পরামর্শ নেওয়ার পরিকল্পনা বলে মত রাজনীতি ব্যক্তিত্বদের। ভোটের আগে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এক স্বচ্ছ ইমেজ তৈরি করতে চায় আম আদমি পার্টি। এক রকম ভাবে ভোটের আগে আপের দিকে হাওয়া কি রকম রয়েছে সেই জল মাপতেই কেজরিওয়ালের এই উদ্যোগ বলে মত রাজনীতিবিদদের।