অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারি|| করোনা চিকিৎসায় নতুন দুটি পদ্ধতিকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বয়স্ক এবং কোমর্বিডিটিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহারে প্রাণের ঝুঁকি কমাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
প্রথম পদ্ধতিতে গুরুতর কভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য কর্টিকোস্টেরয়েডের সঙ্গে আর্থরাইটিসের ওষুধ ব্যারিসিটিনিব ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। ডব্লিউএইচও-র বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে রোগীর ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনীয়তা কমবে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বলা হয়েছে সোট্রোভিম্যাব নামে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসার কথা। ডায়াবেটিস বা ইমিউনোডেফিসিয়েন্সির মতো রোগী দীর্ঘ দিন ভোগা করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে।
গত দুই বছরে কভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রক্সক্লোরোকুইনিন, প্লাজমা থেরাপি, রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও। আবার পরে সেই সুপারিশ বাতিলও করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সংস্থার যুক্তি ছিল, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে করোনা রোগীর চিকিৎসায় কার্যকরী মনে হলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় তার প্রমাণ মেলেনি।
এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আবারও রেকর্ড সংখ্যক মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, তবে মৃত্যু কিছুটা কমেছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৭ হাজার ২১০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে পাঁচ শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৩ জনে।
অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ২০৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮ জনে।
গত দুই বছর ধরে চলা করোনা মহামারিতে একদিনে রোগী শনাক্তের দিক থেকে এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড। আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮ জন।