অনলাইন ডেস্ক, ১৩ জানুয়ারি।। ২০২০ সালে করোনা মহামারী ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যে পানাহারের আয়োজন করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ ঘটনা সামনে আসার পর তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন খোদ তাঁর দলের নেতারা। এখন বরিসের পদত্যাগ চাইছেন তাঁরা।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বরিস জনসনের পদত্যাগ চেয়েছেন; যদিও উপপ্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বরিসের পক্ষ নিয়েছেন।
তবে অনেকে পদত্যাগ দাবি করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির স্কটল্যান্ডের নেতা ডগলাস রোস, আইনপ্রণেতা উইলিয়াম রেগ, ক্যারোলিন নোকস, রজার গ্যালে প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বরিস হাউস অব কমন্সে ক্ষমা চাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রোস। তিনি বলেন, বরিসের সঙ্গে তাঁর ‘শক্ত কথাবার্তা’ হয়েছে। রোস একই সঙ্গে হাউস অব কমন্সের আইনপ্রণেতা এবং স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতা।
রোস বলেন, তিনি ‘১৯২২ কমিটির’ কাছে লিখবেন, যাতে বরিসের নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়।
রোস আরও বলেন, বরিস জনসন একজন প্রধানমন্ত্রী। এটা তাঁর সরকার, যারা কিনা আইন বাস্তবায়নে কাজ করছে। কিন্তু যে ধরনের কাজ করেছেন, সে জন্য তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
১৯২২ কমিটি মূলত কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে। এর আনুষ্ঠানিক নাম কনজারভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি। এই কমিটির কাছে যদি দলটির ৫৪ জন আইনপ্রণেতা চিঠি লেখেন, তবে বরিসের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।