Heart: এক ব্যক্তির দেহে বিশ্বের প্রথম জেনেটিকালি- মডিফাইড শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক, ১১ জানুয়ারি।। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির দেহে বিশ্বের প্রথম জেনেটিকালি- মডিফাইড শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গত তিন দিন আগে ৭ ঘন্টাব্যাপী এক ঐতিহাসিক অপারেশনের মাধ্যমে ডাক্তাররা তার দেহে শুকরের হৃদপিণ্ডটি লাগান। ডেভিড বেনেট (৫৭) নামের ওই রোগী এখন সুস্থ আছেন।

 

বেনেটের জীবন বাঁচানোর শেষ আশা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল এই অপারেশনকে।

 

তবে শুকরের হৃদপিণ্ড দিয়ে তিনি আরও কতদিন বেঁচে থাকতে পারবেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ডাক্তাররা।

 

তার দেহে শুকরের হৃদপিণ্ড লাগানোর অপারেশনের এক দিন আগে বেনেট বলেছিলেন, ‘হয় মরা আর নয়তো এই প্রতিস্থাপন করা, এই ছিল আমার অবস্থা’।

 

তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটা অনেকটা অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো। তবে এটাই আমার শেষ উপায়’।

 

মার্কিন চিকিৎসা নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকদের এই অপারেশন চালানোর জন্য বিশেষ ছাড় মঞ্জুর করেছিল। কারণ এই অপারেশনের ফলে বেনেট মারাও যেতে পারতেন। বেনেটের স্বাস্থ্য খুব খারাপ ছিল এবং ডাক্তাররা তাকে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন।

 

যে মেডিকেল টিম এই অপারেশন করেছে তারা এর মধ্য দিয়ে বছরের পর বছর গবেষণার বাস্তব রুপ দিয়েছে। এই সাফল্য বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে।

 

মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিন এক বিবৃতিতে বলেছে সার্জন বার্টলি গ্রিফিথ বলেছেন, এই সার্জারি বিশ্বকে ‘অঙ্গের ঘাটতি সঙ্কট সমাধানের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে আসবে’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ১৭ জন মানুষ একটি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করে মারা যায়। আর তালিকায় অপেক্ষারত থাকে আরও লাখেরও বেশি মানুষ।

 

মানুষের চাহিদা মেটাতে তথাকথিত জেনোট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য অন্য প্রাণীদের অঙ্গ ব্যবহার করার কথা দীর্ঘদিন ধরেই বিবেচনা করা হয়ে আসছিল এবং ইতিমধ্যেই বহুদিন ধরে শূকরের হার্টের ভালভও ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

২০২১ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্কের সার্জনরা ঘোষণা করেছিলেন যে, তারা সফলভাবে একজন ব্যক্তির দেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন। সেই সময়ের অপারেশনটি তখন পর্যন্ত এই ক্ষেত্রের সবচেয়ে উন্নত পরীক্ষা ছিল।

 

কিন্তু সে রোগী ব্রেন ডেড হয়েছিলেন বা মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তার আর বেঁচে উঠারও কোনো সম্ভাবনা ছিল না।

 

বেনেট অবশ্য আশা করছেন যে, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং শুকরের হৃদপিণ্ড নিয়েই আরও অনেকদিন বেঁচে থাকতে পারবেন। অস্ত্রোপচারের আগে তিনি ছয় সপ্তাহ শয্যাশায়ী ছিলেন। মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে একটি মেশিন দিয়ে জীবিত রাখা হয়।

 

গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সুস্থ হওয়ার পরে বিছানা থেকে উঠার অপেক্ষায় আছি’।

 

গতকাল সোমবার বেনেটকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার সময় দেখা যায় তিনি নিজেই শ্বাস নিতে পারছেন।

 

তবে এর পরে ঠিক কী ঘটবে তা স্পষ্ট নয়। প্রতিস্থাপনে ব্যবহৃত শূকরটি জেনেটিক্যালি পরিবর্তন করা হয়েছিল, যাতে বেশ কয়েকটি জিন ছিটকে যায়। আর নয়তো বেনেটের শরীর শুকরের হৃদপিণ্ডটি গ্রহণ করতো না।

 

গ্রিফিথ বলেন যে, ‘আমরা কখনোই একজন মানুষের দেহে এটি করিনি এবং আমি ভাবতে চাই যে আমরা, আমরা তাকে তার আগের কষ্টকর থেরাপি চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে আরও ভাল কিছু দিয়েছি। কিন্তু তিনি কত দিন, সপ্তাহ, মাস বা বছরের জন্য বেঁচে থাকবেন তা আমি জানি না’।

 

ujjivan
sbi life
hero
hdfc
dailyhunt
bazar kolkata
adjebra

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?