অনলাইন ডেস্ক, ১১ জানুয়ারি।। এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে কাজাখস্থানে বিশৃঙ্খলা মোকাবিলা করতে মস্কোর নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী সেখানে সীমিত সময়ের জন্য অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের বিষয়ে রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পুতিনকে সংলাপ বা সংঘাত- এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর নেতাদের এক বৈঠককালে দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সামরিক চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, সীমিত সময়ের জন্য সম্মিলিত নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (সিএসটিও) শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি দল কাজাখস্থানে পাঠানো হয়েছে।
পুতিন বলেন, কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্টের অনুরোধের পর সম্মিলিত নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা (সিএসটিও) সেখানে সেনা প্রেরণ করেছে।
কারণ দেশটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়েছে।
বৈঠকে কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বৈঠকে বলেছেন, সিএসটিও ২,০৩০ সৈন্য ও ২৫০ সামরিক যান প্রেরণ করেছে।
বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, সাবেক সোভিয়েত দেশে সেনা মোতায়েন করার মাধ্যমে এই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, নেতারা সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর মধ্যে বিপ্লব ঘটানোর কোন সুযোগ দিবে না।
এদিকে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কূটনীতিক এবং সেনা কমর্কর্তারা রবিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নৈশভোজে বসেছিলেন।
এর আগে এবিসির সংবাদবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দিস উইক’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা এ সপ্তাহে দেখব প্রেসিডেন্ট পুতিন কোন পথ নিতে চান। এখন সত্যি এ প্রশ্নই আসছে যে প্রেসিডেন্ট পুতিন কূটনীতি বা আলোচনার পথ নেবেন না সংঘাত চাইবেন। ’
কাজাখস্তানে গত কয়েক দিনের সরকার-বিরোধী আন্দোলনে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় অন্তত ১৫৪ জন নিহত হওয়ার খরব পাওয়া গিয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি রবিবার জানায়, দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল।